মো:জিহাদ হোসেন
উপজেলা প্রতিনিধি মতলব উত্তর চাঁদপুর।
দীর্ঘ ১১ বছর জাপানে খামারে কাজ করে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে খামার করতে চেয়েছিলেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের উত্তর টরকি গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মহসীন মিয়া। বাংলাদেশে এসে প্রথমে তিনি ঢাকায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসা দেন সেখানে সন্তোষজনক লাভবান না হওয়ায় পরে নিজ গ্রামে এসে নিজের জায়গায় গড়ে তুলেন 'নাহার এগ্রো ফার্ম' নামে গরু ও হাসেঁর খামার।
প্রথম দুই বছরে ২৪ লাখ টাকা লোকসানের বিপরীতে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য খামারের গরুর জন্য প্রায় ১ লক্ষ টাকারও বেশি খর ক্রয় করেন। সেই খরগুলো কে বা কাহারা রাতের আঁধারে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এবিষয়ে মতলব উত্তর থানার অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বাদী মো মহসীন মিয়ার মালিকানাধীন একটি গবাদিপশু (গরুর) খামার আছে। উক্ত খামারে ছোট বড় ১৯ টি মোটাতাজা গরু আছে। গরুকে খাওয়ানোর জন্য খামারের পূর্ব পাশে ১৮৬ বোজা খড়ের পারা দেওয়া ছিল। ঘটনার তারিখ রাত ৭ তারিখ দিবাগত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় সবকিছু ঠিকঠাক দেখে আমি ঘুমাইতে যাই। রাত অনুমান ০৩.৩০-০৪.০০ ঘটিকার সময় ১নং সাক্ষী মো: শাহাজালাল ঘটনাস্থলে আমার খড়ের পারায় আগুন দেখিয়া আমাকে ডাকাডাকি করিয়া ঘুম থেকে ডেকে তোলে।
আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি খড়ের পারায় আগুন জ্বলতেছে। পরবর্তীতে আমি আমার গরুর খামারে রক্ষিত বিপদ সংকেত (হর্ণ) বাজাইতে থাকিলে উপরোক্ত অপরাপর সাক্ষীরা সহ আরো লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া উক্ত আগুন নিভাইতে সক্ষম হয়। অজ্ঞাতনামা লোক/লোকেরা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার লক্ষে রাতের অন্ধকারে খড়ের পারায় আগুন দিয়ে অনুমান ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমি অজ্ঞাতনামা লোকদের নাম পরিচয় সনাক্ত করিতে পারিনাই। অজ্ঞাতনামা লোক লোকদের এমন কর্মকান্ডে আমি ভীত ও আতংকিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি।
অজ্ঞাতনামা লোকদের কর্তৃক ভবিষৎতে আমার গরুর খামারের বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা বিরাজমান। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় লোকজনকে অবহিত করিয়া অজ্ঞাতনামা লোক/লোকদেরকে সনাক্ত করিয়া আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উক্ত অভিযোগ দায়ের করিলাম। তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পাইবে। উল্লেখ্য যে, আমার বসত বাড়ীর জায়গার পাশ দিয়ে চলাচলের রাস্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী লোকজনের সাথে কিছুটা বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে এলাকাবাসী বলেন দোষী ব্যক্তি যে বা যাহারাই হোক না কেন তাদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হোক।