মো: জিহাদ হোসেন
উপজেলা প্রতিনিধি মতলব উত্তর চাঁদপুর।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় কয়েকদিন যাবত পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। তেল না পাওয়ায় ভো’গান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। অনেকে বাধ্য হয়ে খোলা সয়াবিন তেল কিনছেন।
এমন সংকটের জন্য বোতলজাত সয়াবিন তেলের ডিলার এবং কোম্পানিকে দায় দিচ্ছেন মোদী দোকানি ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সয়াবিন তেলের সঙ্গে একই কোম্পানির সরিষার তৈল, লবন, চা পাতা, সেমাই, ট্যাংক, পোলাও চাল, সুজি, হলুদ ও মসলা প্যাকেজ আকারে না নিলে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল।
কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের যেসব পণ্যের চাহিদা বাজারে নেই, সেসব পণ্য না রাখলে তেল দিচ্ছেন না। এমনকি সয়াবিন তেল বিক্রিতে কোনো ধরনের মুনাফা দিতেও রাজি নন তারা। এজন্য দোকানীরা কয়েকদিন সর্বোচ্চ খুচরামূল্যের ১০-১৫% অধিক মূল্যে বিক্রি করলেও শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের রোষানলে পড়ে তেল রাখা বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সর্বশেষ রবিবার (২ মার্চ) মতলব উত্তরে ইসলামিয়া মার্কেট নতুন বাজার সহ বিভিন্ন বাজারের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। যারাই তেল কিনতে আসছেন, দোকানিরা বলছেন নেই। ছয়-সাতটি দোকান ঘুরেও তেল পাননি অনেকে। তাদের প্রশ্ন, তেলের কি সংকট চলছে?
অনেকে বড় দোকানে তেল না পেয়ে পাড়া-মহল্লার দোকানে যান। একই অবস্থা দেখে দোকানির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ক্রেতারা। এমন এক ক্রেতাকে উদ্দেশ্য করে তখন দোকানি বলেছেন, কোম্পানিগুলোর বেঁধে দেওয়া শর্তে রাজি না হওয়ায় তেল দিচ্ছে না। এজন্য দোকানে তেল নেই।
তেল না পেয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়ে নতুন বাজার কাপড় ব্যবসায়ি কামরুল হোসেন বলেন, অন্তত ছয় দোকান ঘুরেছি। কোনও দোকানে তেল নেই। সবাই বলছেন, নেই-নেই। এটা তো আমাদের জন্য ভোগান্তি। দোকানিদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, কারণ কারও দোকানেই তেল নেই। শুধু ইসলামিয়া মার্কেট নতুম বাজারে নয় মতলব উত্তর উপজেলার সব বাজারের দোকানগুলোতে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এতে অনেক ক্রেতা মনে করছেন, সংকট। তবে বাস্তবে কোম্পানির বেঁধে দেওয়া শর্তের কারণে তেল রাখছেন না দোকানিরা।
চাঁদপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান জনান, আমরা ইতিমধ্যেই চাঁদপুরের বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করতেছি। সয়াবিন তেলের সাথে অন্যান্য পন্য বাধ্যতামূলক দেওয়া এটি নিয়ম বহির্ভূত কাজ, যারা এই কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।