1. dailyjagratasangbad@gmail.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ
  2. info@www.dailyjagratasangbad.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ড নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার কালকিনিতে হাতকড়াসহ পালানো আসামি গ্রেফতার। গোবিন্দগঞ্জে মা-বাবাকে মারধর করে শিক্ষার্থীকে অপহরণ। লালমনিরহাটে তরুণ প্রজন্ম এখন অনলাইন জুয়া আসক্ত। ফটিকছড়িতে এক নিরীহ কৃষকের ৭৩ শতক জমি ১৭ বছর ধরে প্রভাবশালীর দখলে! আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে নাগরপুরে মানববন্ধন হাজীগঞ্জে কার ভুলে এতিম হলো নবজাতকসহ চার অবুঝ শিশু গাজীপুরে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি বেড়েই চলছে দেহ ব্যবসা – নিউজ এবং আইনি ব্যবস্থা নিলেই চলে সাংবাদিকদের হত্যা চেস্টা চট্টগ্রামে মানবাধিকার ফোরামের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর উপজেলার ৩ নং চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, লক্ষ্মীপুর।

মতলব উত্তরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নাছির দই ভান্ডার

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

 

মো: জিহাদ হোসেন
উপজেলা প্রতিনিধি মতলব উত্তর চাঁদপুর

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের নন্দলালপুরের নাছিরের তৈরিকৃত মিষ্টি দই। যেমনি স্বাদ তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ এই দই, দাবী এখানকার দই প্রেমীদের। আর এজন্যই প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নাছিরের দোকানে দই প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে।

বুধবার (৫ মার্চ) রমজানকে ঘিরে নন্দলালপুরের নাসির দই ভাণ্ডারে গিয়ে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ততা দেখা যায়। খোকন নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য স্থানের দইয়ের চেয়ে নাসিরের তৈরিকৃত দই পুষ্টিসমৃদ্ধ। কারণ, সে এখানকার গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে নির্ভেজালভাবে দই তৈরি করে। আর দামও অন্যান্য স্থানের চেয়ে কম। তাই আমরা সময় সুযোগে দইয়ের প্রয়োজন হলেই এখানে দই কিনতে চলে আসি।

স্থানীয়রা জানান, এখানে এক সময় নাছির উদ্দিন (৩৮) তার বাবা মো. আবুল হোসেনের সাথে দোকানে বসত। এরপর বাবার দেখাদেখি ছোটবেলা থেকেই সে দই তৈরি ও বিক্রিতে পারদর্শী হয়ে উঠে। এরপর থেকে তার দইয়ের সুনাম স্থানীয় বাজারসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে থাকলে সে এই ব্যবসাতেই সফলতা খুঁজতে থাকে। বর্তমানে বাজারে সে একটি সেমিপাকা ঘর ভাড়া নিয়ে দই বিক্রি করছেন। যেখানে দোকানটি আকারে ছোট হলেও ক্রেতাদের আনাগোনায় সবসময়ই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর থাকে।

নাসির উদ্দিন বলেন, বাবার হাত ধরে ২০০৪ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেমে ২১ বছরের বেশি সময় যাবৎ চলছে আমার এই ব্যবসা। অভাব অনটনে নবম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে না পারিনি। তবে দই ব্যবসায় মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষজন দূরদূরান্ত থেকে এখানে এসে দই খেয়ে তৃপ্তি পান। যখন ভালো বলেন তখন মানসিক শান্তি পাই। আমি গ্রাম থেকে গরুর খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে চিনি ও দুধের অনুপাত ঠিক রেখে চাহিদানুযায়ী গ্যাসের চুলায় বাড়িতে এবং কখনো দোকানেই দই তৈরি করে বিক্রি করছি। যে কেউ চাইলে আগাম অর্ডারও করতে পারেন এই দই।

নাসির উদ্দিন আরও বলেন, দুধের দাম বেশি হওয়ায় এখন খরচ পোষাতে এক গ্লাস দই ৩০ টাকা এবং কেজি প্রতি দই ২০০ টাকা দামে বিক্রি করছি। আমার তৈরিকৃত মিষ্টি দই বিক্রির জন্য কাচের ও প্লাস্টিকের গ্লাসে এবং পাতিলে করে সংরক্ষণে রাখি। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ গ্লাস দই বিক্রি করছি।

এছাড়াও পাতিলে করে প্রতিদিন দই বিক্রি হয় গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি। এই ব্যবসা করেই আমার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের পড়ালেখার খরচসহ স্ত্রী ও বাবা মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছি। তবে প্রশাসনিক বা কোন সংস্থা বা কারো কোন সহায়তা পেলে এই ব্যবসাটিকে আরও নান্দনিকভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট