1. dailyjagratasangbad@gmail.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ
  2. info@www.dailyjagratasangbad.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ :
শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ড সরিষাবাড়ীতে জামায়াত নেতার গণসংযোগ লালমনিরহাটে তিস্তা পানি বেড়ে যাওয়া ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত। প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে সরিষাবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানায় মাদক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গণসচেতনায় মানববন্ধন ও সভা অনুষ্ঠিত। লালমনিরহাটে চুরি যাওয়া ২ টি অটোরিকশা উদ্ধার ও ০২ জন গ্রেফতার। মধ্যনগরে শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পূর্ণজাগরণমালা ২০২৫ অনুষ্ঠিত উন্নত, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতির বাগমারা গড়তে চায়,গনসংযোগে ডাঃ আব্দুল বারী জামালপুরে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অভিভাবক সমাবেশ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে হাতিয়ায় বিজয় মিছিল সফল করতে প্রস্তুত সুখচর ইউনিয়ন বিএনপি হাতিয়ায় হরিণের মাংস সহ এক পাচারকারী আটক

১৭ রমজান: বদর দিবস ও মুসলিম উম্মাহর শিক্ষা

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

 

মাওলানা আসগর সালেহী

 

১৭ রমজান ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন, যেদিন বদরের ঐতিহাসিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এটি ছিল প্রথম ইসলামী যুদ্ধ, যেখানে মক্কার কুরাইশদের বিপরীতে মুসলিমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। এই যুদ্ধের শিক্ষা ও তাৎপর্য মুসলিম উম্মাহর জন্য আজও অনুপ্রেরণার উৎস।

বদরের যুদ্ধ: এক গৌরবময় অধ্যায়
৬২৪ খ্রিস্টাব্দে (২ হিজরি) বদরের প্রান্তরে সংঘটিত এই যুদ্ধ ছিল মূলত ইসলামের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। মক্কার কাফিররা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল এবং তাদের নির্মূল করতে চেয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (সা.) সংবাদ পান যে, আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে কুরাইশদের একটি বাণিজ্য কাফেলা সিরিয়া থেকে ফিরছে। মুসলমানরা কাফেলাটি আটকানোর প্রস্তুতি নিলেও, আবু সুফিয়ান কৌশলে কাফেলাটি নিরাপদে সরিয়ে নেয় এবং কুরাইশদের সেনাবাহিনী যুদ্ধের জন্য বেরিয়ে আসে।
মুসলিম বাহিনী ছিল মাত্র ৩১৩ জন, তাদের হাতে ছিল গুটি কয়েক ঘোড়া ও কিছু তলোয়ার। বিপরীতে কুরাইশদের ১০০০ জনের বিশাল বাহিনী, প্রচুর অস্ত্র ও রসদসহ প্রস্তুত ছিল। বাহ্যিক দিক থেকে মুসলমানরা ছিল দুর্বল, কিন্তু তাদের সঙ্গে ছিল আল্লাহর সাহায্য ও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুপ্রেরণা।

বদরের যুদ্ধের ফলাফল ও তাৎপর্য
ক. আল্লাহর সাহায্যের সুস্পষ্ট নিদর্শন
মুসলিম বাহিনীর সীমিত সামর্থ্যের বিপরীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য আসে। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে:
“স্মরণ কর, যখন তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছিলে, তখন তিনি বললেন, আমি এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা তোমাদের সাহায্য করবো।” (সুরা আনফাল, আয়াত: ৯)

খ. ঈমানের শক্তি বিজয় এনে দেয়
যুদ্ধটি দেখিয়ে দেয়, বাহ্যিক শক্তি ও অস্ত্র নয়, বরং ঈমান ও দৃঢ় সংকল্পই বিজয়ের মূল চাবিকাঠি। মুসলমানরা ত্যাগ ও আত্মনিবেদন দ্বারা প্রমাণ করে যে, সত্যের পথে লড়াই করলে আল্লাহর সাহায্য আসবেই।

গ. সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্ট হয়
বদরের যুদ্ধ ছিল সত্যের ওপর মিথ্যার প্রথম পরাজয়। মক্কার বহু শক্তিশালী নেতা যেমন আবু জাহল, উতবা ইবনে রাবিয়া, শায়বা নিহত হয়। এর ফলে কুরাইশদের মনোবল ভেঙে যায় এবং ইসলামের বিজয়ের পথ উন্মুক্ত হয়।

ঘ. ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তি মজবুত হয়
বদরের যুদ্ধ ইসলামের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক ছিল। এর ফলে মদিনায় নবগঠিত ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত্তি দৃঢ় হয় এবং মুসলমানরা রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে আত্মবিশ্বাস অর্জন করে।

মুসলিম উম্মাহর জন্য শিক্ষা
বদরের যুদ্ধ কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, বরং এটি আমাদের জন্য দিকনির্দেশনা বহন করে।
সংখ্যায় কম হলেও বিশ্বাস ও সংহতি থাকলে বিজয় সম্ভব। আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখলে তিনি সাহায্য করেন। একতা, সাহস ও কৌশলগত চিন্তাভাবনার মাধ্যমে শত্রুর চেয়ে দুর্বল হয়েও জয়লাভ করা যায়। ত্যাগ ও আত্মনিবেদন ছাড়া কোনো মহৎ উদ্দেশ্য অর্জিত হয় না।

বদরের যুদ্ধ শুধু অতীতের এক বিজয় নয়, বরং এটি চিরন্তন শিক্ষা বহন করে। মুসলিম উম্মাহ যদি বদরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়, তবে তারা যেকোনো বাধাকে জয় করতে পারবে। বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের একতা, ঈমানের দৃঢ়তা ও আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। বদরের চেতনা আমাদেরকে সাহস ও আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়।

লেখক: মাওলানা আসগর সালেহী
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।
মোবাইল : ০১৮৭১-৮৩৯৩৫৩
ইমেইল : ajgorsalehi20@gmail.com

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট