মোঃ আজমির হাসান
উপজেলা প্রতিনিধি
চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে কর্ণফুলী,আনোয়ারা,পটিয়া ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা । ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চালানো নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয় এ কর্মসূচিতে।
এদিন জুমার নামাজ শেষে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে কর্ণফুলী, পটিয়া,আনোয়ারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মইজ্যারটেক,চাতুরী চৌমহনী,পটিয়া উপজেলা সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে গাজায় গণহত্যা, আরব রাষ্ট্রগুলোর কার্যকর ভূমিকা কই? অবরুদ্ধ গাজা, বিশ্ব মানবতা এক হও’ গাজার গণহত্যা বন্ধ চাই,ফিলিস্তিনিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না,বয়কট বয়কট, ইসরায়েলি পণ্য বয়কট স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সুজানগরের রাজপথ ।
পরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার আহবায়ক ডাঃ এমদাদুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার সভাপতি মোঃ সেলিম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের কর্ণফুলী উপজেলার সভাপতি মোঃ বাহার উদ্দিন বাহার, শ্রমিক অধিকার পরিষদের কর্ণফুলী উপজেলার সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ আজমির হাসান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহিম
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল কেবল গাজায় নয়, গোটা মানবতাকেই হত্যার পরিকল্পনায় নেমেছে। শিশু, নারী, নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা হতাশাজনক ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া। এ অবস্থায় মুসলিম উম্মাহর উচিত, একত্রিত হয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং তাদের পণ্য বর্জনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও
দেশীয় ব্যবসায়ীদের ইসরায়েলি পণ্য আমদানি বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন,গাজায় গণহত্যার দৃশ্য দেখার পর থেকে তাঁরা স্থির থাকতে পারছেন না। একটা জাতির ওপর এভাবে দিনের পর দিন হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ও সংগঠনের কোনো টনক নড়ছে না। তাঁরা ফিলিস্তিনি মানুষের মুক্তি চান। দ্রুত স্বাধীন ফিলিস্তিন দেখতে চান।ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হাজারো মুসলমান ভাইকে হত্যা করেছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি হাজার হাজার শিশুও এমনকি পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সাহ্রির সময়ও বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।গণহত্যার দোসরদের পণ্য বাংলাদেশে আনা যাবে না। তাদের নামে চলা ব্যবসা অবিলম্বে বাংলাদেশে বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে মানুষকেও এই পণ্য কেনা থেকে দূরে থাকতে হবে এবংগণহত্যা বন্ধে এখনই জাতিসংঘকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে বলে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা জানান।