মো: জিহাদ হোসেন
উপজেলা প্রতিনিধি মতলব উত্তর চাঁদপুর।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ও সেচ খালগুলোর বেশ কিছু অংশ অবৈধ স্থাপনা ও দোকান নির্মাণ করে দির্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করছে একটি মহল।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্হানীয় নেতা কর্মিরা দির্ঘদিন যাবত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা ও দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল রেখেছে। এদিকে গত ৫ আগস্ট পর আওয়ামীলীগ নেতাদের আত্মগোপন চলে গেলে নতুন করে আরেকটি মহল ওই স্হাপনাগুলো দখলে নিয়ে যায়। এতে পাউবো জায়গা দখলের চলছে হাত বদলের পালা। ফলে বেড়িবাঁধটি হুমকিতে পড়ছে। অপরদিকে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় কৃষিজমিতে পানি সরবরাহ করা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাউবোর স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ১৯৮৭-৮৮ সালে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধটি নির্মিত হয়। এই বাঁধের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার। এই প্রকল্পের অধীনে ২১৮ কিলোমিটার সেচখাল আছে। গত সরকারে আমলে স্হানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা সেচ প্রকল্পের এনায়েতনগর মৌজায় ১৫, মমরুজকান্দি মৌজায় ৫৯, এখলাছপুর মৌজায় ১০৯, চাঁন্দ্রাকান্দি মৌজায় ২০, ষাটনল মৌজায় ৭০, পালালোকদি মৌজায় ৪০ ও রামদাসপুর মৌজায় ৫০ জন ব্যক্তি বেড়িবাঁধ ও সেচ খালের জায়গা দখল করে আট শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও দোকান নির্মাণ করেছেন।
এছাড়াও এনায়েতনগর, মমরুজকান্দি, সুজাতপুর, এখলাছপুর, বকুলতলা, বাংলাবাজার, দূর্গাপুর, বাগানবাড়ি, জীবগাঁও, মোহনপুর, বেলতলী, চাঁন্দ্রাকান্দি, কালিপুর, ষাটনল, বদরপুর, রামদাসপুর সহ আরও কয়েকটি এলাকার বেশ কিছু জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকান ও ঘর নির্মাণ করে ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার সর্তে কয়েকজন জানান, গত ১৬ বছর যাবত স্হনীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিরা পাউবোর কিছু খালি জায়গায় স্থাপনা নির্মান করে ভোগ দখল করে খেয়েছে এখন আমার খাবো। যখন পাউবোর কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করবো তখন চলে যাবো।
এনায়েতনগর, ঠেডালিয়া এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, আগে স্হানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিরা বেড়িবাঁধের ওপর দোকান নির্মাণ করে আমাদের কাছে মাসিক ভাড়া দিয়েছে। এখন তারা এলাকা ছেড়ে চলে গেলে আরেকটি দলের স্হানীয় নেতাদের মাসিক ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে । এ ব্যাপারে পাউবোর কর্মকর্তারা কখনো তাঁদের কিছু বলেননি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি জায়গা একসময় আওয়ামীলীগ দখলে ছিলো, বর্তমানে আরেকটি দলের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখলে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) চাঁদপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় কারনে অবৈধভাবে দোকান ঘর ও দখলের প্রতিযোগিতা এখানে চলছে।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পওর বিভাগ চাঁদপুর নির্বাহী প্রকৌশলী (চঃদাঃ) মোঃ সেলিম শাহেদ এর মোবাইলে একাধিক বার ফোন করে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।