মহিউল ইসলাম, উপজেলা প্রতিনিধি (তালা,সাতক্ষীরা):
তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কালের কণ্ঠের তালা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান টিপু কে লাঞ্চিত ও পরে ইউএনও কর্তৃক জেল জরিমানার প্রতিবাদে তালায় পৃথক পৃথক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, তালা উপজেলা শাখার আয়োজনে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এমএ ফয়সাল, মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে তালার ইউএনও কে অপসারণের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় ইউএনও অফিস ঘেরাও সহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় ।
অপরদিকে গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় তালা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এম এ ফয়সালের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোয়ার্দার ফারুক হোসেন, গাজী সুলতান আহমেদ, সেলিম হায়দার, জাহাঙ্গীর হোসেন, আরিফুল হক ভুলু, শফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান রাজু, শেখ ইমরান হোসেন, কে এম শাহিনুর রহমান, আরিজুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, খলিলুর রহমান লিথু, গনেষ রায় সুমন প্রমুখ। তালার সাংবাদিকরা তুচ্ছ একটি ঘটনায় একজন সাংবাদিককে জেল জরিমানার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এসময় বক্তারা আরো বলেন- উপজেলায় যত উন্নয়ন মুলক কাজ হয় সবই নির্বাহী কর্মকর্তার অধীনে। এসকল কাজে কারো কোন হস্তক্ষেপ চলবেনা। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে রাস্তা থাকার পরেও মুল রাস্তার হেজিং খুঁড়ে
অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ ও খাস জায়গা উদ্ধারে ইউএনওর গাফিলতির বিষয়ে কালের কণ্ঠ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষেপেছেন ইউএনও। তারই বলি আজ রোকনুজ্জামান টিপু। এছাড়াও উপজেলার প্রতিটি স্তরে রয়েছে ইউএনও-এর কালো হাত।
বক্তারা আরো বলেন- ইউএনও একজন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সময় ছাত্রলীগের একজন ভাইরাল
নেতা ছিলেন। তার আপন ভাইয়ের স্ত্রী ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন। ফ্যাসিস্টদের মদদপুষ্ট এই ইউএনও দ্বারা উপজেলার কি উন্নয়ন হবে।
তালার উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কাজ করলে ঠিকাদারদের কাছ থেকে লাখে ২৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এই টাকা কোথায় যায় কে নেয় তালাবাসী জানতে চায়। এসময় বক্তারা প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট এই দূর্নীতিবাজ ও আওয়ামী লীগের দোসর ইউএনও কে অনতি বিলম্বে অপসারণের দাবি জানানো হয়।