মোঃ আজমির হাসান।
কর্ণফুলী উপজেলা প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিন ও কর্ণফুলী উপজেলার রোড মার্চ আয়োজন করা হয় এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার সভাপতি মোঃ সেলিম, সাধারন সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল, গণঅধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার সদস্য সচিব মোঃ আজমগীর,গন অধিকার পরিষদ কর্ণফুলী উপজেলার সভাপতি মোঃআলমগীর,সাধারন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, শ্রমিক অধিকার পরিষদ কর্ণফুলী উপজেলার সভাপতি মোঃ বাহার উদ্দিন বাহার, সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু তাহের তছলিম, শ্রমিক অধিকার পরিষদ কর্ণফুলী উপজেলার সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ আজমির হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহাজান, শ্রমিক অধিকার পরিষদ কর্ণফুলী উপজেলার ১ নং চরলক্ষা ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জানে আলম, সাধারন সম্পাদক আব্দুর সালাম, মোঃ কাশেম,মোঃ ইউনুস, নুরউদ্দিন,এতে পটিয়া উপজেলার সভাপতি মোঃমাজু,সাধারন সম্পাদক রিংকু দাস, সহ মহিলা নেএী উপস্তিত থাকেন, এতে বিশ্ব মে দিবস উপলক্ষে
বক্তারা বলেন।
বিস্ময়ের সাথে নয়, গর্বের সাথে আজ আমরা উদযাপন করছি ১লা মে — আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, সম্মান এবং মর্যাদার প্রতীক হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আজকের এই দিনটি শুধু একটি তারিখ নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি চেতনা, একটি সংগ্রামের ফসল। এটি সেই সব নিরলস পরিশ্রমী মানুষের প্রতি আমাদের সম্মান, যাঁরা তাদের ঘাম, শ্রম ও মেধা দিয়ে সমাজকে গড়ে তোলেন।
শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম বহুদিনের, দীর্ঘ এবং বেদনাদায়ক ইতিহাসের সাক্ষী। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেটের সেই রক্তাক্ত আন্দোলন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় — ন্যায্য দাবির জন্য শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠ কখনো স্তব্ধ হয় না। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই মে দিবস আমাদের উৎসাহ দেয়, অনুপ্রাণিত করে এবং দায়বদ্ধ করে।
আজকের এই দিনে, আমরা প্রতিজ্ঞা করি:
আমরা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, কাজের নিরাপদ পরিবেশ এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবো।
আমরা শিশুশ্রম, শোষণ, বৈষম্য এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।
আমরা শ্রমিকদের মর্যাদা রক্ষায় আমাদের আইন, প্রতিষ্ঠান এবং নীতি-নির্ধারণী সকল পর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবো।
আমরা বিশ্বাস করি— “শ্রমই শক্তি, শ্রমই সম্মান।”
এই দিনে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি আমাদের সেই সহযোদ্ধা, সহকর্মী, শ্রমিক ভাই-বোনদের, যাঁরা নিজেদের শ্রম দিয়ে আমাদের এই সভ্যতা, প্রযুক্তি, শিল্প এবং উন্নয়নের ভিত গড়ে তুলেছেন। তাঁদের শ্রম ব্যর্থ হতে পারে না, তাঁদের স্বপ্ন অধরাই থাকতে পারে না।
আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি ন্যায়ভিত্তিক, সমানাধিকারের, শ্রমবান্ধব সমাজ গড়ি।
শ্রমিকের হাসি হোক আমাদের উন্নয়নের চূড়ান্ত সূচক।