মোঃ আজমির হাসান
কর্ণফুলী উপজেলা
কর্ণফুলীতে দাওয়াতে ইসলামীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত তিন দিনের বিভাগীয় সুন্নাতে ভরা ইজতেমা শুক্রবার (২ মে) জুমার নামাজের পর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। আখেরি মোনাজাত ও জুমার নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দানে লাখো মুসল্লির ঢল নামে। মুসল্লিরা আল্লাহর দরবারে হাত তুলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে দোয়া করেন বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য। ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে পুরো ইজতেমা ময়দান এক হৃদয়বিদারক পরিবেশে পরিণত হয়।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর সভাপতি ও রুকনে শুরা মোহাম্মদ আব্দুল মুবিন আত্তারি। জুমার নামাজে ইমামতি করেন খলিফায়ে আমিরে আহলে সুন্নাত, আল্লামা ওবায়েদে রেজা মাদানী কাদেরী আত্তারি। ইজতেমার শেষ দিনেও ধারাবাহিকভাবে বিষয়ভিত্তিক বয়ান করেন দাওয়াতে ইসলামীর প্রখ্যাত মোবাল্লিগ মাওলানা মুহাম্মাদ সালাহ উদ্দিন আত্তারি ও মাওলানা কাওসার আত্তারি। তিন দিনের এই ইজতেমা শুরু হয়েছিল ৩০ এপ্রিল (বুধবার) ফজরের নামাজের পর। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও সারাদেশ থেকে লাখো আশেকানে রাসূল অংশগ্রহণ করেন।
ইজতেমায় রাত্রিযাপন করেছেন বহু মুসল্লি এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে পুরো আয়োজন। দ্বিতীয় দিন রাতের কিছু সময় হালকা বৃষ্টিপাত হলেও উপস্থিত মুসল্লিরা একটুও বিচলিত না হয়ে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করেই বয়ান শুনতে থাকেন। ইজতেমা চলাকালীন নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন দাওয়াতে ইসলামীর স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার সদস্যরা। পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও দিনরাত কাজ করেছেন। ইজতেমাটি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আয়োজক ও স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।