কালকিনি(মাদারীপুর)প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে উচ্চ শব্দে হর্ণ বাজানোকে কেন্দ্র করে সার্বিক পরিবহন চালক ও এলাকাবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এবং যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ও ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব এর যৌথ প্রচেষ্টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত কালকিনি ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে কালকিনি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সার্বিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া ভাবে নিয়ে আসছিলেন চালক অহিদুল বেপারী। রেন্ডিতলা এলাকায় আসলে যাতায়াতের সময় হাইড্রোলিক হর্ণ দিলে মোটর সাইকেল আরোহী মেহেদী ঘরামী নার্ভাস হয়ে খাদে পড়ে যায়। পরে মেহেদী সহ উপস্থিত লোকজন ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে সার্বিক পরিবহনের চালক অহিদুল বেপারীকে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবহন চালক ও এলাকাবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়। ভাংচুর করা হয় বেশকিছু যানবাহন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অহিদুল বেপারীর ভাই মিন্টু ঘরামী ও তার ছেলে আশিক সহ অন্তত ১২ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব। ফের সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে কয়েক ঘন্টা বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে যৌথ বাহিনীর চেষ্টায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, সার্বিক পরিবহনের চালক অহিদুল বেপারী ভুরঘাটা মজিদ বাড়ির আক্কেল বেপারীর ছেলে ও মেহেদী ঘরামী পাশের গ্রামের উত্তর রাজদী এলাকার জলিল ঘরামীর ছেলে। তাদের দুইজনের বাড়ি পাশা পাশি হওয়ায় মুহুর্তেই দুটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে এম সোহেল রানা জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্য।
মেহেদী হাসান মাছুম
কালকিনি,মাদারীপুর