[নিজস্ব প্রতিবেদক]
বাকেরগঞ্জে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধের দৌরাত্ম্য এখন ওপেন সিক্রেট। থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মোল্লার প্রত্যক্ষ আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক নুহু এবং একই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার কামাল হাওলাদার এলাকায় নতুন করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, নুরুল হক নুহু ও কামাল হাওলাদার দুজনই আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পরিচিত। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় তারা প্রকাশ্যে সাধারণ জনগণকে মারধর, জমি দখল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা ক্ষমতার দাপটে এলাকাবাসীর মুখ বন্ধ করে রেখেছিল, কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।
বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার পরও, প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতার সুযোগে তারা আবারও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আগের মতো অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। অথচ আইন অনুযায়ী, তাদের পলাতক থাকার কথা ছিল। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, কীভাবে এত অভিযোগের পরেও তারা প্রকাশ্যে থেকে আবারও তাণ্ডব চালাচ্ছে?
বিশেষ করে, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মোল্লার ছত্রছায়ায় থেকে এরা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অপরাধীদের এই পুনরুত্থানে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই জানান, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু আইনি পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, নুরুল হক নুহু ও কামাল হাওলাদার বর্তমানে জমি দখলের নতুন পরিকল্পনায় লিপ্ত রয়েছে। যারা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মারধরের মতো ঘটনাও ঘটছে। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবী, অবিলম্বে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।