1. dailyjagratasangbad@gmail.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ
  2. info@www.dailyjagratasangbad.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ :
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ড হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দুদকের তদন্তের থাবায় ফিরবে সস্থি সতর্কে কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন। লামায় পারিবারিক কলহের জেরে ১ যুবক খুন আটক ৪ হাতিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা লালমনিরহাটে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা চোরাই আটো ও ইজিবাইক সহ ০১ জন গ্রেফতার মধ্যনগরে উপজেলা বিএনপি’র ৩১ দফা কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। লালমনিরহাট জেলা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মতলব উত্তরে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে নবনির্বাচিত গভর্নিং বডির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম জোরদারে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত আমাদেরকে ত্রিমুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নির্বাচন আদায় করতে হবে -সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বাঘাইছড়িতে বিএনপির মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত

সরকারের নির্দেশেই বাড়তি বিদ্যুৎ বিল: গ্রাহকদের ক্ষোভ চরমে

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ হাসান আলী, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি (রাঙ্গামাটি)

 

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা সাব স্টেশনে শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক নিয়মবহির্ভূত অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি- মিটার রিডিং যথাযথভাবে না নিয়েই প্রতি মাসে অতিরিক্ত ইউনিট দেখিয়ে বিল করা হচ্ছে, যা জনসাধারণের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ।
ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, নিয়মিত বিল পরিশোধ সত্ত্বেও তারা সেবা পাচ্ছেন না। উপরন্তু, অহেতুক অতিরিক্ত বিলের বোঝা বহন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই বারবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যা ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সন্তোষ দাস নামে এক গ্রাহক জানান, চলতি মাসে তার বিল করা হয়েছে ৭,৯৭০ ইউনিট ব্যবহার দেখিয়ে। অথচ বাস্তবে মিটারে রিডিং রয়েছে ৫,০৫৬ ইউনিট। অর্থাৎ, অতিরিক্ত ২,৯১৪ ইউনিটের হিসাব সংযুক্ত করা হয়েছে।
অন্য এক ভুক্তভোগী সুশীল জীবন বলেন, ১৮ মে ২০২৫ তারিখে তার মিটারে রিডিং ছিল ৫,১৫৬ ইউনিট, কিন্তু প্রাপ্ত বিলে উল্লেখ করা হয়েছে ৫,৩৬৫ ইউনিট। এতে ২০৯ ইউনিটের অতিরিক্ত বিল আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে।
এদিখে গ্রাহক সিদ্দিক আলী অভিযোগ করে বলেন, তিনি সরকারের কাছে প্রায় ৭০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ফেরত পাওনা আছেন। তার দাবি, মিটার যাচাই না করেই অনুমানভিত্তিকভাবে অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা গরিব খেটে খাওয়া মানুষ, এই বাড়তি বিল কীভাবে পরিশোধ করবো?
তিনি আরো বলেন, “অফিসে বসেই বাড়তি বিল তৈরি করে মাস শেষে বাসায় কাগজ পাঠিয়ে দেয়। সরকার কেন আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল নেবে?”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “সরকারের নাম ব্যবহার করে কিছু কর্মচারী ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত বিল করে সেই অর্থ আত্মসাৎ করে।”
তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, “আমাদের মতো সাধারণ মানুষের যেন এমন হয়রানি থেকে রক্ষা নিশ্চিত করা হয়।”
এছাড়া আব্দুল রাজ্জাক নামের আরেক গ্রাহক জানান, তার মিটারে রিডিং-এর চেয়েও অতিরক্তি ইউনিটের বিল দেয়া হয়েছে। মারিশ্যা সাব স্টেশনে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
আজ (১৮মে) রবিবার সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার দিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (আরিআই) কে অফিসে পাওয়া যায়নি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দ্বিতীয় বার গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার সহকর্মীদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, (আরিআই) বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে অফিসীয় কাজে রয়েছেন। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি একবার রিসিভ করেন সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে মোবাইল কেটে দেন। পরে তাকে একাধিক বার ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
অফিসের হিসাবরক্ষক মো. ইদ্রিস বলেন, “সরকারি নির্দেশ অনুযায়ীই অতিরিক্ত বিল করা হচ্ছে। আমাদের ব্যক্তিগতভাবে কিছু করার নেই, আমরা কেবল ঊর্ধ্বতন নির্দেশ পালন করছি।”
এই বিষয়ে এলাকাবাসী অতিরিক্ত বিল নিয়ে যেন যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন ।
তারা আরো বলেন, এভাবে দায়িত্বহীন আচরণ চলতে থাকলে জনগণের ক্ষোভ আরও বেড়ে যাবে, যা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে।
ভুক্তভোগীরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সঠিক মিটার রিডিং নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট