মোহাম্মদ উল্লাহ সেনবাগ উপজেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় দায়ের কৃত একটি মামলার প্রধান আসামি হলেন মিজানুর রহমান, ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
এমন বিস্ময়কর ঘটনায় প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা ও সমালোচনা। সংশ্লিষ্ট মহলে উঠেছে নানান প্রশ্ন—একজন এজাহার ভুক্ত আসামি কীভাবে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হতে পারেন?
জানা যায়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপি,জামায়াত নেতা কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ‘ক্রসফায়ার’-এর ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গত বছরের ১৮ আগস্ট সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বিএনপি নেতা নুরনবী বাচ্চু। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মিজানুর রহমানকে।
সেনবাগ থানা এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে জানা যায় সাবেক ওসি মিজানুর রহমান সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় অনেক কেই করেছেন সর্বশান্ত। মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
ঘটনার দীর্ঘ সময় পর, চলতি বছরের ১৯ মে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমের স্বাক্ষরিত এক আদেশে মিজানুর রহমানকে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের চিঠি প্রধান করা হয়। এরপর ২০ মে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তবে একই দিন তার বিরুদ্ধে সেনবাগ থানায় দায়ের করা মামলার বিষয়টি সামনে এলে তিনি তড়িঘড়ি করে সাত দিনের ছুটিতে যান।
সেনবাগ থানার বর্তমান ওসি মো. নাজিম উদ্দিন জানান, মামলাটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দায়ের হলেও তদন্ত চলছে এবং ওসি মিজানুর রহমান মামলার প্রধান আসামি। তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এসআই আব্দুর রউফ।
এ বিষয়ে ওসি মিজানুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। কোতোয়ালি মডেল থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফি কুল ইসলাম এ প্রতিবেদক কে জানান গতকাল তিনি চার্জ হস্তান্তর করে ছুটিতে গেছেন।
এদিকে, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, সেটি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটিই বাস্তবায়ন করা হবে।