মোঃ কামাল শিকদার
বরিশাল বিভাগীয় প্রধান
বরিশালের নতুন বাজার, কাউনিয়া হাউজিং, বাংলা বাজার ও মেডিকেল কলেজ এলাকা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিন দিন ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ও গাঁজা। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এই বিস্তার যেন আরও বেপরোয়া রূপ ধারণ করেছে। পুলিশের উপস্থিতি ও অভিযান দুর্বল হয়ে পড়ায় সুযোগ নিচ্ছে মাদক কারবারিরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এইসব মাদক ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে থেকে যাচ্ছে আইনের নাগালের বাইরে। ফলে, প্রশাসনের দৃষ্টির আড়ালে থেকে দিনে দিনে গড়ে তুলছে এক ভয়াবহ মাদক চক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় মাদক কেনাবেচা। তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও ধীরে ধীরে এই সর্বনাশা নেশার দিকে ধাবিত হচ্ছে, যা সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অশনিসংকেত।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে, তবে কিছু কিছু স্থান ‘সংবেদনশীল’ হওয়ায় অভিযানে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
এদিকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, কেবল আইন প্রয়োগ করে নয়, বরং সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সচেতনতা কার্যক্রম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তরুণদের সম্পৃক্ত করেও এই মরণব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব।
মাদক নির্মূলে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তদন্ত এবং সর্বস্তরের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা এখন সময়ের দাবি। তাছারা শহরের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিকরা।
বেশিরভাগ অঞ্চলে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের হাত ধরে চলছে এই মাদক ব্যবসা।
যেটার প্রতিকার আইনের সঠিক,প্রয়োগ সচেতন নাগরিকদের প্রতিবাদ দ্রুত প্রয়োজন তাহলে একটি সুষ্ঠু সমাজ গড়ে উঠতে পারে।