মোহাম্মদ হাসান বিশেষ প্রতিনিধি রায়পুর।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবক। আজ বৃহস্পতিবার বাইশে মে সকাল ১১ টার দিকে ৫ নম্বর চড়-ফাতান ইউনিয়নের চৌধুরীর ফুল এলাকায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহিত হন রাইয়ান হোসেন সুজন ২৫
নিহত রায়হান রায়পুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদ্দার বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান দ্রুতগতির একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা রায়হানের মোটরসাইকেলটিকে সহযোগে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়েন।
সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্য রত চিকিৎসক উন্নতির চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করেন।
কিন্তু চাঁদপুর পৌছানোর আগে তার মৃত্যু হয় ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
রায়হানের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া কান্না জড়িত কন্ঠে তার মা বলেন আমার ছেলের সকালে বেরিয়ে গেলে আর ফিরবে না এটা ভাবতেই পারছি না ওর তো জীবন শুরুই হলো না
পিতা সিরাজুল ইসলাম বলেন আমার ছেলেটা খুব ভদ্র ছিল সামনে ওর অনেক স্বপ্ন ছিল সব শেষ হয়ে গেল।
ঘটনাস্থলে চৌধুরীর ফুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ঘটনার পর উত্তেজনায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানান এ এলাকায় প্রায় যানবাহনের প্রতিরোধ না থাকার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দার শহিদুল ইসলাম বলেন এক টাক শালক বদরুদ্দ নেই তা লরি গুলো বেড়াফা ভাবে চলে আমরা বারবার প্রশান্তকে জানিও কোন ব্যবস্থা পাইনি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান ঘটনার পর পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে আটক করা হয়েছে।
পার্টি আটকের জন্য অভিযান চলছে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় এ ধারাবাহিকতা রোদে স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তাদের মতে তোর ঘটনার প্রবণ এলাকাগুলোতে স্পিড ব্রেকার সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও নির্মিত ট্রাফিক নজরদারে নিশ্চিত করা জরুরী।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে বছরজুড়ে নানা আন্দোলন হল দুর্ঘটনার ভয়ালতাবাদ থেমে নেই।
রায়হানের মিত্র আরেকবার প্রমাণ করল সচেতনা ও কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে প্রতিদিনই এমন প্রাণ ঝরবে সড়কে।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত ঐ কার্যকর পদক্ষেপ না নেই তবে এই হারানো প্রাণের দায়ী কে নেবে।