বরিশাল ব্যুরো:
সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে হয়তো ধরা যায় না, কিন্তু কিছু নিদর্শন রয়ে যায় কালের সাক্ষী হয়ে। ঠিক তেমনই একটি বিস্ময়কর নিদর্শন হলো বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের যবসেন গ্রামের ‘২২ হাত কবর’। এটি শুধু একটি কবর নয়, এটি একটি জীবন্ত কিংবদন্তির গল্প, যার নাম জমশের খাঁন।
স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, জমশের খাঁন ছিলেন প্রায় ১৮ হাত লম্বা এক বিশালদেহী মানুষ। আনুমানিক ৭০০ বছর আগে তিনি তাঁর পরিবারসহ এই এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। স্থানীয় জমিদার মোহন মুন্সির লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করার সুবাদে ‘পেয়াদা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এখান থেকেই তার পরিচিতি জমশের পাইক।
যদিও কবরটি লোকমুখে ২২ হাত বলে প্রচলিত, প্রকৃতপক্ষে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ হাত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এতো বড় কবর বাংলাদেশ তো বটেই, গোটা বিশ্বেই আর নেই।
বংশধর রাতুল পাইক বলেন, এত বড় ও রহস্যময় কবর থাকা সত্ত্বেও, এটি রয়ে গেছে একেবারেই অবহেলিত। নেই কোনো সরকারি স্বীকৃতি, নেই সংরক্ষণের ব্যবস্থা। আমরা চাই এর সঠিক দেখভাল করা হোক।
এলাকাবাসী আবু সালেহ বলেন, অনেকেই জানে না আমাদের গ্রামে এমন একটি বিস্ময়কর কবর আছে যদি এটিকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলা হতো, তাহলে আমাদের গ্রামের নাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ত বিশ্বে।
বংশধর রিফাত হোসেন পাইক বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে লোকজন আসে। এখানের ইতিহাস যানার জন্য অনেকের আগ্রহ বেশি থাকে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে এর ইতিহাস সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক।