বরিশাল ব্যুরো:
বরিশালে আলোচিত মামলার প্রেক্ষিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংগঠনের জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব মারজুক আব্দুল্লাহর পদ স্থগিত করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে শনিবার দুপুর ১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মারজুক।
সংবাদ সম্মেলনে মারজুক দাবি করেন, আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শোকজ করা হয়েছে। যার কারন কিছু নির্দোষ ব্যক্তির নাম ভুলবশত মামলার তালিকায় যুক্ত হয়েছে এবং অনেকের ঠিকানা ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। যে সমস্যা গুলো ঠিক করা যেত।কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন মামলার আসামিদের ফুসলিয়ে আমার বিরুদ্ধে উসকানি দেন। যার কারণে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো উঠেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মামলার আসামিদের কাছ থেকে নাম বাদ দেয়ার শর্তে সাব্বির হোসেন অর্থ দাবি করেছেন। অথচ দায় আমার কাঁধে চাপানো হচ্ছে। সংগঠনের মুখপাত্র সুমি হক এবং আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন একজন ছাত্রলীগ নেতার নাম মামলা থেকে বাদ দিতে আমাকে চাপ দিয়েছেন এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়েছেন। আমি রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে মারজুক আব্দুল্লাহ বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ প্রায় ৩০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মামলার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত ও বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
প্রায় ৯ মাস আগে বরিশালে ‘জুলাই আন্দোলনে হামলার’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মামলা করা হয়। এরপরই সংগঠন থেকে মারজুকের সাংগঠনিক পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।