মোঃ জিহাদ হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি চাঁদপুর।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে ইলিশের অকাল। জেলেরা দিনরাত নদীতে জাল ফেলেও কাঙ্খিত ইলিশ পাচ্ছে না। যে পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন তাতে নৌকার জ্বালানি তেলের খরচই উঠছে না।জেলে পরিবারের নেমে এসেছে হতাশ ।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আট সহস্রাধিক জেলে রয়েছে । মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন জাল ও নৌকা-ট্রলার নিয়ে নদীতে নেমে পড়েন তারা। কিন্তু সারা দিন জাল বেয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশ পাচ্ছেন না । মাছ বিক্রির আয় না আসায় মূলধন হারাতে হচ্ছে জেলেদের। আর এতে অভাব, অনটন আর অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা।
কাঙ্ক্ষিত ইলিশের আশায় ধারদেনা আর এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জাল বানিয়ে ও নৌকা মেরামত করলেও সেই ঋণ পরিশোধ নিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। ধারদেনা আর ঋণ পরিশোধের চিন্তায় চরম হতাশায় ভুগছেন।
মৎস্য বিভাগের সূত্রমতে , গত চার বছর ধরে ইলিশের উৎপাদন এবং আহরণ ভালো হয়েছে। প্রতি বছর ইলিশ আহরণ ও লক্ষ্যমাত্রার মাত্রা বাড়লেও এ বছর ইলিশের প্রাপ্যতা এখন পর্যন্ত কম থাকায় হতাশ জেলেরা।
জেলে আলী আলী মিয়া , ফুলচান বর্মন ও অনিল বর্মন, কালু বেপারি বলেন, সারা দিন নদীতে জাল ফেলেও মাছ পাচ্ছি না। এমন অবস্থায় সুদে ধারদেনা আর এনজিওর ঋণ কীভাবে শোধ করব-সে চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি না।
এদিকে, ইলিশসংকটে শুধু জেলেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, এমনটা নয়। আড়তদারদেরও চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। বিগত সময় এমন দিনে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকলেও এবার তা এনেক কমে গেছে বলে মনে করছেন তারা।
আড়তদারা জানান, অন্যান্য বছরের এই সময়ে প্রচুর ইলিশ পাওয়া গেলেও বর্তমানে ইলিশের তেমন দেখা নেই। নদীতে ইলিশের আমদানি খুবই কম।
মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাশ বলেন, এখন ইলিশ একটু কম পাওয়া যাচ্ছে। নদীতে ডুবোচর সৃষ্টি হওয়া, তলদেশে খাদ্য কমে যাওয়া এবং পানিদূষণের কারণে পদ্মা, মেঘনা নদীতে ইলিশের বিচরণ কিছুটা কমেছে।