মোঃ শাহেদ উদ্দিন হাতিয়া উপজেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ, বয়ারচর, চরঘাসিয়া, ঢালচর এলাকায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে বেড়িবাঁধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সব এলাকায় সম্পূর্ণভাবে বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে না গেলেও কয়েকটি এলাকায়, এক থেকে তৃতীয়াংশ বাঁধ ভেঙে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে স্বাভাবিক জোয়ারেও ভেঙ্গে যেতে পারে বাকি অংশটুকুও। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গা অংশটুকু মেরামত না করলে ক্ষতির মুখে পড়বে বেড়িবাঁধের ভিতরের বসবাস করা প্রায় ৩০ হাজার পরিবার। অমাবস্যার প্রভাব ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের
ফলে গত মঙ্গলবার রাত থেকে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত হাতিয়ার স্থানে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩/৪ ফুট উচ্চতায় জোয়ার হয়। সঙ্গে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস ছিল। পুর্ব দিক থেকে ৩/৪ ফুট উচ্চতার জোয়ারের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরঈশ্বর ইউনিয়নের নলচিরা খাট থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের প্রায় অর্ধেক। চরঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে গত বছর ৪ কিলোমিটার এই বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করা হয়। যার ফলে ঝড় জলোচ্ছ্বাস, জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পায়। চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্ৰাম, বাদশা মিয়া হাজী গ্ৰাম, ৭নং গ্ৰাম, হামিদুল্লাহ গ্ৰামসহ কয়েকটি গ্ৰামের প্রায় ২০ হাজার পরিবার। বেড়িবাঁধ এসব গ্ৰামে বেড়েছে ফসলি জমি, মাছের প্রজেক্ট,ও পুকুর। কিন্তু প্রচন্ড জোয়ারে বেড়িবাঁধটি প্রায় ২ কিলোমিটারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। তারা বলেন, বাঁধের বিভিন্ন অংশে যে পরিমাণ ভেঙেছে স্বাভাবিক জোয়ারে সম্পূর্ণভাবে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে সামনে বর্ষাকাল। সে সময় সাগর আরো বেশি উত্তাল থাকবে। জোয়ারের উচ্চতা ও বাড়বে কয়েকগুণ। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি মেরামত না করলে চরঈশ্বর ইউনিয়নের বেশিরভাগ অংশ, ও সোনাদিয়া, তমরদ্দি ইউনিয়ন সাগরে বিলীন হয়ে যাবে। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, হাতিয়ায় সব চেয়ে বেশী বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, চরঈশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব পাশে। এছাড়া নলচিরা, সোনাদিয়া, তমরদ্দি, ও সুখচর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ অনেক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো মেরামতে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।