বরিশাল ব্যুরো:
বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নের ফুলতলি নদীর উপর ডিঙ্গা মানিক ও শালুকা গ্রামের সংযোগস্থলে তৈরি হওয়া একটি কাঠের সেতু এখন ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে তিন বছর আগে নির্মিত এই সেতুটি আজ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও এখনো এটি দিয়েই যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে দুই গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, আগে দুই গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল খেয়া নৌকা। প্রতিদিন শত শত মানুষ বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও রোগীরা এই নদী পার হয়ে যেতেন স্কুল, মাদ্রাসা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নৌকা পারাপারে ঝুকি থাকায় এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে একটি কাঠের সেতু নির্মান করেন। তবে পর্যাপ্ত ভিত্তি ও মজবুত খুটি ছাড়া গড়ে ওঠা এই কাঠের সেতুটি এখন নড়বড়ে ও অত্যন্ত ঝুকিপূন হয়ে পড়েছে।
ঐ এলাকার গৃহবধূ দিলরুবা, বিয়ের পর থেকেই দেখে আসছেন দুই গ্রামের পারাপার ছিল নৌকাই। যা বর্ষায় খুবই অসুবিধার এবং ঝুকি পূর্ণ। তাই এলাকার সবাই মিলে তৈরি করল কাঠের ব্রিজ, যা যানবাহন চলতে না পারলেও লোক পারাপারে সহায়ক। তার মতে এখন ব্রিজটি সরকারিভাবে পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি করা হলে অসুস্থদের দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া যাবে ও মানুষের ভোগান্তি অনেক কমে যাবে।
স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজটির কাঠগুলো পুরনো হয়ে গেছে। সেতুতে একজন মানুষ উঠলেই দুলে ওঠে। অনেক জায়গায় কাঠ ভেঙে গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছেন এলাকার শত শত মানুষ।
দোকানদার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা নিজেরা টাকা তুলে এই সেতু বানাইছি। ব্রিজটি পুরনো হয়ে গেছে, কখন ভেঙে পড়ে কে জানে। বর্তমানে সেতুটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কেউ পার হলেও ঝুকি নিয়ে চলাচল করছেন। আমরা চাই এর সঠিক সংস্কার হোক।
এছাড়াও, ওই এলাকার বাসিন্দা খন্দকার রাকিব হোসেন (আপেল), শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ ছাত্র কামরুল ইসলাম আলিফ, রাজমিস্ত্রি মোঃ করিম হোসেন, দোকানদার জাহাঙ্গীর হোসেনের কন্ঠেও ব্রিজ সংস্কার দাবির চিত্র ফুটে উঠেছে ।