চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ১, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোছাঃ মনোয়ারার বিরুদ্ধে ভিজিডি, বিধবা ও টিসিবি কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মনোয়ারা তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্ড দেননি বা অর্থ ফেরত দেননি।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের খামার গ্রামের বাসিন্দা সাবিনা অভিযোগ করেন, তার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী, সংসার চলে খুব কষ্টে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইউপি সদস্য মনোয়ারা নিজে বাড়িতে গিয়ে ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেন। এখন টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা করেন।
একই গ্রামের ফাতেমা ও নাজমুল, বেতিল ১ নম্বর ওয়ার্ডের লতা, এনায়েতপুর গ্রামের রাবেয়া ও তার নাতনি আয়েশা, মোছাঃ রাজু খাতুনসহ আরও কয়েকজন একই ধরনের অভিযোগ করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, কেউ ভিজিডি কার্ড, কেউ টিসিবি, কেউবা বিধবা ও প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে টাকা দিয়েছেন। এক বৃদ্ধার কাছ থেকে টিসিবি ও ভিজিডি কার্ড বাবদ ১ হাজার ৭০০ টাকা নেওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে।
নাজমুল বলেন, “মনোয়ারা একসময় সাধারণ জীবন যাপন করতেন, তাই আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু এখন তিনিই গরিবদের ঠকাচ্ছেন।”
অভিযোগের বিষয়ে মোছাঃ মনোয়ারা বলেন, “ভিজিডি কার্ড বাবদ কোন টাকা নিইনি। যাতায়াত বাবদ বিধবা ও টিসিবি কার্ডের জন্য ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়েছি। এনায়েতপুরের রাবেয়ার কাছ থেকে নেওয়া ১,৫০০ টাকা ফেরত দিয়েছি। কেউ টাকা চাইলে ফেরত দিবো এবং কার্ডও করে দিবো।”
এ বিষয়ে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক তানভীর হাসান মুজুমদার জানান, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চৌহালী উপজেলার ইউএনও মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে ভুক্তভোগীরা দ্রুত অর্থ ফেরতের দাবি জানিয়ে ইউপি সদস্য মনোয়ারার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করেছেন।