মোঃফজলুল হক মানিক
জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট।
দেশের দরিদ্রতম ১০ জেলার ৫টি রংপুর বিভাগে অবস্থিত। বাকি তিনটি জেলাও দারিদ্র সূচকের তলানিতে। নারায়ণগঞ্জের সাথে কুড়িগ্রামের দারিদ্রতার হারের পার্থক্য প্রায় ২৮ গুণ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদেশে কর্মী প্রেরণ, নদী ভাঙনরোধ, বহুমুখী দারিদ্র নিরসন এবং অন্যান্য খাতে পিছিয়ে আছে রংপুর বিভাগ।
রংপুর একমাত্র বিভাগ, যেখানে কোনো অনুমোদিত অর্থনৈতিক অঞ্চলও চালু হয়নি।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (সংক্ষেপে বেজা)-এর হিসাব মতে এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সরকারি ৫৪টি, বেসরকারি ২৩টি এবং চীন, জাপান ও ভারতের জন্য চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন রয়েছে।
কিন্তু দু:খের বিষয় রংপুর অঞ্চলে জানামতে সরকারি বা বেসরকারি কোন অর্থনৈতিক অঞ্চল নেই। ফলে এ অঞ্চলে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
দেশের প্রতিটি জেলা থেকে গড়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার কর্মী বিদেশে গমন করছে অথচ রংপুরের ৮টি জেলার প্রতিটি জেলা থেকে গমনকৃত প্রবাসী/অভিবাসীর সংখ্যা গড়ে মাত্র ১৯ হাজার ১৯৭ জন। মূলত দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ও উন্নয়ন বঞ্চিত রংপুরবাসী দেশের অন্যান্য এলাকার সাথে সমানতালে এগোতে পারছে না।
কোনো দেশের বা অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যোগাযোগ রক্ষায় সড়ক, রেল ও নৌ পথ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি আকাশ পথও কম গুরুত্বপূর্ণ ভাবার কোনো সুযোগ নেই।
কোনো একটি অঞ্চলের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বিভিন্ন মালামাল পরিবহণ বা প্রেরণে সড়ক, রেল ও নৌ-পথের অগ্রাধিকার সর্বজন স্বীকৃত। কিন্তু সভ্যতার চাবিকাঠি ও চালিকা শক্তি মানুষকে জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিমানকেই কার্যকরী স্বীকৃত বাহন হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। বিশেষ করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক এমনকি সাধারণ মানুষকেও এক দেশ থেকে অন্য দেশে এমনকি দেশের অভ্যন্তরেও সময় ও সম্পদ বাঁচাতে বিমান ছাড়া যোগাযোগের বিকল্প কিছু থাকে না।