বরিশাল ব্যুরো:

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের ‘শহীদ জিয়া সড়ক’ যেন দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এক জরাজীর্ণ রাস্তায় পরিণত হয়েছে। ১৭ বছর ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বাইতুল মদিনা জামে মসজিদের সামনে  রাস্তা সংস্কার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে অন্তত শতাধিক এলাকাবাসী। তাদের দাবি, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার করা হোক।
এলাকাবাসী বলেন,  প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী চলাচল করলেও দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বড় বড় গর্ত, খানাখন্দে নাকাল হচ্ছেন সবাই। বর্ষা এলেই চিত্র আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা ক্ষোভের সাথে জানান, জনপ্রতিনিধিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন, কাজের বেলায় নেই। ১৭ বছর ধরে এক চুলও উন্নয়ন হয়নি এই সড়কে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য আ ন ম সাইফুল আহসান আজিম, সাবেক কাউন্সিলর মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার, সৈয়দ আশরাফ আলী, জায়েদ হোসেন, হারুন, মোঃ নুরুজ্জামান, মামুন, মজিবর রহমান, শানু, হানিফসহ এলাকার অসংখ্য স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা অভিযোগ করেন, বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও মেলেনি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। বক্তারা বলেন, যদি দ্রুত এই সড়ক সংস্কার এবং ড্রেনেজ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু না হয়, তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, জিয়া সড়কের মূল সড়কের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
তবে এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিশ্রুতি নয়, দ্রুত দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে চায় তারা। কেননা এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির অবস্থা যেমন রয়েছে, তাতে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

…………………

আনন্দ-উৎসাহে মুখর বরিশালের রথযাত্রা, অংশ নেয় হাজার হাজার ভক্ত

বরিশাল ব্যুরো:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা বরিশালে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরের ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ রোডে অবস্থিত শ্রী শ্রী শংকর মঠের রাধা শ্যাম সুন্দর মন্দির প্রাঙ্গণে রথযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) আয়োজনে এবারের রথযাত্রায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখা যায়। প্রতিবছরের মতো এবারো তিনটি পৃথক রথে ভগবান বলদেব, সুভদ্রা ও জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম রথে ছিলেন বলদেব, দ্বিতীয় রথে সুভদ্রা এবং তৃতীয় রথে জগন্নাথ দেব যাত্রা করেন।
রথযাত্রাটি জেলখানা মোড় হয়ে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শেষে অমৃতাঙ্গনে বলদেব, সুভদ্রা ও জগন্নাথ দেবকে স্থাপন করা হয়।
উৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছিল আনন্দ ও উৎসাহ। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে সুসজ্জিত রথ টেনে হাজারো ভক্ত অংশ নেন এ আয়োজনে। পুরো রথযাত্রা জুড়ে ছিল উৎসবের আমেজ।
রথযাত্রা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল র‌্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে সতর্কভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।