বরিশাল ব্যুরো:
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকায় তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যা করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। রবিবার বিকেলে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার প্রধান আসামী মোবারক আলীকে ফকিরকে গ্রেফতার করেছে এসআই মহিউদ্দিন পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম। আটককৃত মোবারক ঝালকাঠির গুয়াটন গ্রামের মৃত মোসলেম আলী ফকিরে পুত্র। তাকে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
গত শুক্রবার বিকালে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ও প্রজননের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল তালগাছটি একদল পাষণ্ড ব্যক্তি কেটে ফেলে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুর রহমান জানান, বাবুই পাখির বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মোবারক আলী, মিজানুর রহমান এবং ফারুক হোসেন এই ৩ জনকে আসামী করে ৩৭৯ নং ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে POR নং ০১/ ঝাল ২০২৪-২৫ নামীয় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মোবারেক আলী ফকিরের মালিকানাধিন জমির তালগাছটিতে দীর্ঘদিন ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। এ গাছে অসংখ্য বাবুই পাখির বাসা, ডিম ও ছানা ছিল। গাছটি মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ক্রয় করে কাটার ফলে প্রায় শতাধিক ছানা ও ডিম ধ্বংস হয়ে যায়। এই বন্যপ্রাণি হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী মর্মাহত হয়ে পড়েন ।
স্থানীয় জাহিদ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই তালগাছটি শুধু একটি গাছ ছিল না, ছিল একটি প্রাণি বৈচিত্রের কেন্দ্র ছিল। যারা এই কাজ করেছে, তারা প্রকৃতির বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে।”