মোঃ শাহেদ উদ্দিন হাতিয়া উপজেলা প্রতিনিধি ( নোয়াখালী )
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাহাজমারা বিরবিরি এলাকার বাসিন্দা গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শাহারাজের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে জাহাজমারা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে হাতিয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসীর ব্যানারে করা মানববন্ধনে জাহাজমারা ইউনিয়ন থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাহারাজের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানির বিভিন্ন অভিযোগ এনে বক্তব্য রাখেন মোঃ ওসমান গনি, হাজেরা বেগম, নিজাম উদ্দিন, ফরহাদ হোসেন, সাহেদা আক্তার প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা পরিচয় দিয়ে সাহারাজ জাহাজমারা এলাকায় হামলা মামলা চাঁদাবাজি সহ যাবতীয় অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতীষ্ঠ। সে কথায় কথায় ভিপি নূরুল হক নূরের খুব কাছের মানুষ বলে পরিচয় দেন। মোবাইলে বদলির হুমকি ও দেন প্রশাসনের লোকদেরকে। ৫ আগস্টের ক্ষমতা বদলের পর তার অত্যাচার আরো বেড়ে যায়। সে বেশিরভাগ সময় ঢাকাতে অবস্থান করলেও মাঝে মাঝে এলাকায় এসে এসব অপকর্ম করে আবার চলে যান। মানববন্ধনে জাহাজমারা বিরবিরি গ্ৰামের ভুক্তভোগী পরিবারের নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। সাহারাজ ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা অপকর্মের ঘটনা তুলে বক্তারা আরো বলেন, জাহাজমারার নিমতলীতে বন্দোবস্ত ভুমি দখল করতে গেলে স্থানীয় ভুমিহীনদের দাওয়া খেয়ে সে পালিয়ে আসে। তার ছোট ভাই নাহিদ গ্যাং নিয়ে জাহাজমারার কাটাখালীতে বোট ডাকাতির চেষ্টাকালে স্থানীয় জনগণ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদেরকে দাওয়া করে। গণঅধিকারের প্রভাব খাটিয়ে তার ছোট ভাই নাহিদ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে মারামারি ও লুটপাটে অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন। তার বাবার বিরুদ্ধে ও মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। মোঃ সাহারাজ উদ্দিন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি রাজনীতি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক। সে হাতিয়া জাহাজমারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বিরবিরি গ্ৰামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। এব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ সাহারাজ উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা মানববন্ধনে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তারা আমার পরিবারের সদস্যদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে আমার মাকে অমানবিক ভাবে পিটিয়েছে। আমার মা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে। এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধন করেছে। আমরা হাতিয়া থানায় মামলা করেছি। মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।