বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি :
বরিশালের বাবুগঞ্জ এবং মুলাদী উপজেলার সংযোগস্থল মীরগঞ্জ নদীতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ফেরিঘাট। বর্তমানে ইজারা কার্যক্রম কোটেশন আহবানের মাধ্যমে চলমান রয়েছে। সেখানে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এ পর্যন্ত ৭ বারেরও বেশি ডাক উঠেছে। তাই সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পুনঃ দরপত্র আহবান করা হয়েছে। তবে ইজারা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ‘মেসার্স মেহেক মাকীন ট্রেডার্স’র স্বত্তাধিকারী এস এম মাকিন আবেদিন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ এবং মুলাদী উপজেলার সংযোগস্থল মীরগঞ্জ নদীর ফেরিঘাটের ৩ বছর ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। সেখানে বেশ কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সর্বশেষ মেসার্স মেহেক মাকীন ট্রেডার্স ও মোল্লা এন্টারপ্রাইজ’র মধ্যে প্রতিযোগীতা চলছে। সোমবার (৩০ জুন) সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ডাক উঠান মোল্লা এন্টারপ্রাইজ। পাশাপাশি মেসার্স মেহেক মাকীন ট্রেডার্স ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ডাক উঠায়। এ নিয়ে পর্যন্ত ৭ বারেরও বেশি ডাক উঠেছে। দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রেষারেষিতে যে সর্বোচ্চ দরদাতা হবেন সেই ফেরিঘাটের ইজারা পাবেন।
মেসার্স মেহেক মাকীন ট্রেডার্স’র স্বত্তাধিকারী এস এম মাকিন আবেদিন বলেন- ইতিপূর্বে ৬ষ্ঠ বারে আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছিলাম এবং ২য় সর্বোচ্চ দরদাতার সাথে আমার টাকার ব্যবধান ছিল ৬৫ লাখ টাকা। সরকার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে অনুরোধ থাকবে তারা যেন পুনরায় ইজারা আহবান করেন যাতে সরকার আরো বেশি মুনাফা লাভ করতে পারে। তাই আমি পুনঃ দরপত্র আহবানের জন্য আবেদন করেছি।
তিনি আরও বলেন- প্রতিপক্ষকে ফেরিঘাটের ইজারা পাইয়ে দিতে একটি মহল কাজ করছে। আমরা চাই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী ঘাটের ইজারা দেয়া হোক।
এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যতদিন রেষারেষি চলবে ততদিন পুনঃ দরপত্র আহবান করা হবে। সর্বশেষ যে সর্বোচ্চ দরদাতা হবেন সেই ফেরিঘাটের ইজারা পাবেন।