মোঃ শাহেদ উদ্দিন হাতিয়া উপজেলা প্রতিনিধি (নোয়াখালী)
জুলাই আন্দোলন ছিল এক ভীবৎস। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের কোটা আন্দোলন থেকে অধিকার আদায়ে মূলত এ গণঅভ্যুত্থানের সূত্র পাত। যা শুরু হয়েছে ২০১৮ সাল থেকে অধিকার আদায়ে এ আন্দোলন যদি ছাত্ররা না করতেন পুরো জাতি হয়ত এক অজানা অন্ধকারে নিমজ্জিত হতেন বলে মন্তব্য করেছেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সভা উপজেলা প্রশাসক কর্তৃক জুলাই শহীদ দিবস ২০২৫' উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শহীদদের স্মরণে কথা গুলো বলছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদ সহ ৬ জনের নিহত হওয়ার পর ছাত্র- জনতা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সরকারি গ্যাজেটে ৮৩৪ জন শহীদদের নাম প্রকাশ হয়। সারা দেশের ন্যায় হাতিয়াতেও মাহমুদুল হাসান রিজভী ও মোঃ লিটন উদ্দিন ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ হন। এখানে শহীদ রিটনের বাবা আছেন। পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ কত ভারী তা কেবল পিতারাই বুঝেন। সকল শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশ আমাদের বৈষম্য মুক্ত শান্তিপূর্ণ নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে হবে। তাহলে শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখানো হবে।
এর আগে হাতিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতে ইসলামীর ২নং ওয়ার্ডের সহ - সম্পাদক মাওলানা মোঃ হেলাল উদ্দিন।
সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির সাবেক উপজেলা সেক্রেটারী খোন্দকার আবুল কালাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মানসী রানী সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাসেদ, হাতিয়া থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ আনিছুর রহমান, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, কাজী আবদুর রহিম, পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাওফিকুল ইসলাম, সমাজ সেবক আব্দুল কাদের ও ছাত্র প্রতিনিধি আশিক এলাহী।