মো: জিহাদ হোসেন
বিশেষ প্রতিনিধি চাঁদপুর।
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি হল। ১৬ জুলাই ছিল রাষ্ট্রীয় শোক পালনের দিন। এ উপলক্ষ্যে মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জুলাই শহীদদের স্মরণে রাখতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে।
মতলব উত্তরের সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এই জুলাই গ্রাফিতিরি নতুন সাজ দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই এনে দিয়েছে নতুন বাংলাদেশ। আর এই জুলাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আবু সাইদ, মুগ্ধ সহ বহু শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাদেরকে স্মরণে রাখতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা হয়। যতদিন জুলাই থাকবে, ততদিন আমরা শহীদদের স্মরণে রাখবো।
রাজপথে বুকে পেতে দেওয়া একটি অবিস্বরণীয় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে। এমনি প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এই গ্রাফিতি একবার নয় যেন বার বার মনে করিয়ে দেয় জুলাই আন্দোলনকে। হাজারো মানুষের প্রাণ ঝড়া এমন একটি ইতিহাসকে স্মরণে রাখতে চায় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকরা জানান, জুলাই আমাদের জন্য অবিস্মরণীয় একটি ইতিহাস। জুলাই শহীদদের আত্মার বিনিময়ে বাঙালী জাতি নতুন একটি ইতিহাস পেয়েছে। সেই জুলাই আন্দোলনের এক বছর পূর্তি হল। জুলাইয়ের চেতনা ছড়িয়ে যাক প্রতিটি শিক্ষার্থীর হৃদয়ে। আজকের এই দিনে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করি।
মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আমি মনে করি বাঙালী জাতির কাছে জুলাই শহীদগণ অবিস্বরণীয় হয়ে থাকবে। তাদের আত্মত্যাগে জাতি নতুন এক বাংলাদেশ সৃষ্টি করবে।
সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ লিয়াকত হোসেন বলেন, সেই দিন আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা যদি প্রাণ না দিতেন তাহলে হয়তো আমরা নতুন বাংলাদেশ পেতাম না। তাই জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন প্রত্যেকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে তাদেরকে স্মরণে রাখতে স্কুলে গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে।