স্টাফ রিপোটার (জামালপুর)
মোঃ খাইরুল ইসলামপুর
জামালপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি-১) এর একটি টিম মেলান্দহ থানা এলাকায় বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৭৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও একজন নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে।
গত ২২ জুলাই রাত ৩:২০ মিনিটে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নিঃ) মোঃ এহসানুল হক এর নেতৃত্বে একটি টিম মানকী বাজার মোড়ে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, মেলান্দহ থানার রায়ের বাকাই এলাকার এক কৃষি জমির পাশে কিছু মাদক ব্যবসায়ী গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। তাৎক্ষণিকভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সঙ্গীয় অফিসার ও নারী কনস্টেবল খাদিজা খাতুনের সহায়তায় নাম: মোছাঃ সুজেদা(৩৮), স্বামী: মোঃ বেলাল, ঠিকানা: রায়ের বাকাই, পোঃ ফুলকোচা, থানা-মেলান্দহ, জেলা-জামালপুর কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। বাকি দুইজন পুরুষ আসামী তার স্বামী মোঃ বেলাল ও দেবর মোঃ দুলাল অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে ৪টি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় স্কচটেপ মোড়ানো মোট ২৮টি প্যাডি গাঁজা উদ্ধার করা হয়, যার মোট ওজন ৭৪ কেজি এবং অনুমানিক বাজারমূল্য ২২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এ সময় স্থানীয় দু’জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে মাদকদ্রব্য ডিজিটাল স্কেলে মেপে জব্দ করা হয়।
ডিবির এই সফল অভিযানের বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ নাজমুস সাকিব বলেন, আমাদের টিম মাদকবিরোধী অভিযানে নিয়মিত তৎপর রয়েছে। এই ধরনের অভিযানের মাধ্যমে জামালপুর জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম বলেন, "মাদক সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য একটি ভয়াবহ অভিশাপ। তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার এ ধ্বংসাত্মক চক্র ভাঙতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার এই সফল অভিযান জামালপুর জেলাকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোনো অপরাধীই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। জেলা পুলিশের সকল ইউনিট সমন্বিতভাবে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক নির্মূলে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে কোনো ধরনের আপস নেই।"
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) এর ১৯(গ)/৪১ ধারায় মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান চলমান রয়েছে।