মোঃ খসরুজ্জামান কবীর
মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলা ঘোষণার চার বছর পূর্ণ হলেও শুরু হয়নি প্রশাসনিক ভবনের কাজ। চলছে নামমাত্র কার্যক্রম প্রশাসনিক ভবন ও জনবল না থাকায় নামে উপজেলা হলেও বাস্তবে কোন কাজেই আসছে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমি, কৃষি প্রশাসনিক ভাবে সব দিকেই বঞ্চিত মধ্যনগর উপজেলাবাসী নেই কোনো ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা উপজেলা যেন একটি নিশ্চুপ দ্বীপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আছেন ইউএনও, নেই এসিল্যান্ড ২১২ পদের বিপরীতে কর্মরত ৯ জন ।
নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এম বি বি এস ডাক্তার।
৪ ইউনিয়নে ১ ভূমি অফিস।
বিদ্যালয় বিহীন ৬০ টি গ্রাম।
বিভিন্ন অধিদপ্তরের ২৩ দপ্তরে ২১২ টি পদের মধ্যে ২০৩ টি পদেই খালি থাকায় নাগরিক সেবা নিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায় বিঘ্ন হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা দেড় লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার ভরসা ২ টি মাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ২ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থাকলেও নেই কোনো এম বি বি এস ডাক্তার।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় নেই,নেই কোনো সহকারি কমিশনার (ভূমি) এমন কি চারটি ইউনিয়নের একটি ভূমি অফিসের ভরসা।
শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত অন্তত ৬০ টি গ্রাম,
বিদ্যালয় বিহীন এসব গ্রামের শিশুরা পড়ালেখা করতে যেতে হয় অন্য কোনো গ্রামে। অন্য গ্রামে শিশুরা যেতেও নেই কোনো ভালো রাস্তা বা যাতায়াতের ব্যবস্থা, বর্ষাকালে শিশুরা অন্য গ্রামে যেতে হলে একমাত্র নৌকা দিয়েই যাতায়াত করতে হয় এতে অনেক শিশুই পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। অভিভাবকরা মৃত্যুর ভয়ে শিশুদের স্কুলে দিতে চায় না, এ কারণে অনেক শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মধ্যনগর উপজেলায় নেই কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এতে ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ প্রায়ই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
উপজেলায় যাতায়াতের জন্য নেই কোনো পাকা রাস্তা হেমন্ত সিজনে পায়ে হেঁটে যেতে পারলেও বর্ষাকালে একমাত্র যাতায়াতের ব্যবস্থা হচ্ছে নৌকা বা ট্রলার।
জানা যায় ২০২১ সালের ২৬ জুলাই নিকার ১১৭ তম সভায় মধ্যনগরকে থানা থেকে উপজেলায় উন্নতি করা হয়। ২২২ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যনগরে ৪ টি ইউনিয়নে ১৪৭ টি গ্রামে দেড় লাখ মানুষের বসবাস।
সাধারণ মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা অতি দ্রুত করার জন্য উপজেলা বাসীর প্রাণের দাবি।