মোঃ শাহেদ উদ্দিন হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গাছের সাথে বেঁধে সম্রাট আকবর নামে যুবদল নেতাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে বিরবিরি গ্ৰামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিরবিরি গ্ৰামের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। সে একই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দখল বাণিজ্য চাঁদাবাজি সহ সাধারণ মানুষের উপর অনেক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। সম্রাট আকবর জাহাজমারা ইউনিয়নের পূর্ব বিরবিরি গ্ৰামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে। সে জাহাজমারা ইউনিয়ন পূর্ব শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিল। বর্তমান ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্থানীয়রা জানান, জসিমের বাড়িতে সম্রাট আকবর কে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পেটানো হচ্ছে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করতে গেলে জসিমের লোক তাদের বাধা দেয়। পরে তার স্বজনেরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতা চান। এতে জাহাজমারা ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ এসে সম্রাট কে উদ্ধার করে। সম্রাটের মা মরিয়মের নেছা জানান, জসিম মেম্বারের বাড়ি তাদের বাড়ির কাছাকাছি। তার ছেলেকে বাড়িতে এনে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পিটাচ্ছে। এ সংবাদ শুনে সবাই ছুটে যান জসিম উদ্দিনের বাড়িতে। কিন্তু দরজায় জসিমের লোকজন তাদের বাধা দেয়। ছেলের আর্তনাদ দেখতে পারলেও তখন তার কিছুই করার ছিল না। পরে পুলিশ এসে সম্রাট কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার নিতম্ব সহ শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত সম্রাট বলেন, জসিমের সাথে আমার রাজনৈতিক মতবিরোধ রয়েছে। আমি আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে জসিমের বাড়ির দরজায় তাদের সাথে আমার দেখা হয়। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জসিমের লোকজন আমার উপর আক্রমণ করে। তারা আমাকে বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের সাথে আমার হাত পা বেঁধে ফেলে। এরপর জসিম লাঠি নিয়ে আমাকে বেদম পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে লাঠি ভেঙ্গে গেলে বিদ্যুতের মোটা তার দিয়ে মারতে থাকে। এতে আমার হাত ভেঙ্গে যায়। শরীরের পিছনের অংশে ও উপরের অনেক অংশে রক্তক্ষরণ হয়। আমার চিৎকারে আমার কোন স্বজন এসে সাহায্য ও উদ্ধার করতে পারে নাই। ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। জসিমের বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় সম্রাট কে উদ্ধার করা হয়। তাকে তার স্বজনদের মাধ্যমে উপজেলা হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জসিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি সঠিক নয়। তবে পুলিশ সম্রাট কে কেন আহত অবস্থায় আপনার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছেন, এ প্রশ্ন করলে সে কৌশলে এড়িয়ে যান।