মোঃ হাসান আলী, বাঘাইছড়ি (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা হয়ে সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান পথ হচ্ছে বাঘাইছড়ি–দীঘিনালা সড়ক। প্রায় ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি বহু বছর ধরে সংস্কার ও সম্প্রসারণ না হওয়ায় যাত্রী ও পরিবহন চালকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরু, ভাঙাচোরা ও ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করলেও নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। তাই এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে সড়কটি দ্রুত সম্প্রসারণ ও সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন।
সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বর্ষাকালে পাহাড় ধসে যানবাহন চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। সরু পথের কারণে একই সাথে দুটি গাড়ি নিরাপদে চলাচল সম্ভব হয় না, ফলে যানজট ও বিঘ্ন স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও রোগীবাহী যানবাহনকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত কলা, আনারস, আদা, হলুদ ও নানান শাকসবজি সময়মতো বাজারে নিতে না পারায় অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যায়, এতে তারা ক্ষতির মুখে পড়েন। শিক্ষার্থীরাও জানান, প্রতিদিন দীঘিনালা বা খাগড়াছড়ি যেতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। অন্যদিকে, বাঘাইছড়িতে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের খাগড়াছড়ি বা চট্টগ্রামে নিতে গেলে সড়ক সমস্যার কারণে জরুরি সেবা পেতে দেরি হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর, সাজেক, মারিশ্যা, রূপকারী, সারোয়াতলীসহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্য—“বাঘাইছড়ি–দীঘিনালা সড়ক অবিলম্বে সম্প্রসারণ ও সংস্কার করা জরুরি। উন্নত সড়ক হলে শুধু যাতায়াত সহজ হবে না, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন খাতেও ব্যাপক অগ্রগতি আসবে। এর ফলে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।”
এলাকাবাসী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ ও কাজ শুরু করার জোর অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের বিশ্বাস, এ সড়ক সম্প্রসারণ হলে দীঘিনালা হয়ে বাঘাইছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী হবে।