1. dailyjagratasangbad@gmail.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ
  2. info@www.dailyjagratasangbad.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ড নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার কালকিনিতে হাতকড়াসহ পালানো আসামি গ্রেফতার। গোবিন্দগঞ্জে মা-বাবাকে মারধর করে শিক্ষার্থীকে অপহরণ। লালমনিরহাটে তরুণ প্রজন্ম এখন অনলাইন জুয়া আসক্ত। ফটিকছড়িতে এক নিরীহ কৃষকের ৭৩ শতক জমি ১৭ বছর ধরে প্রভাবশালীর দখলে! আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে নাগরপুরে মানববন্ধন হাজীগঞ্জে কার ভুলে এতিম হলো নবজাতকসহ চার অবুঝ শিশু গাজীপুরে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি বেড়েই চলছে দেহ ব্যবসা – নিউজ এবং আইনি ব্যবস্থা নিলেই চলে সাংবাদিকদের হত্যা চেস্টা চট্টগ্রামে মানবাধিকার ফোরামের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর উপজেলার ৩ নং চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, লক্ষ্মীপুর।

লালমনিরহাটে বাদাম চাষে কৃষকের মুখে হাসি।

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

 

 

মো: ফজলুল হক মানিক
জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট।

 

 

দেশের বৃহৎ চরাঞ্চলখ্যাত লালমনিরহাট জেলায় বাদাম চাষ করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। দেশের বৃহৎ তিস্তা নদের পানি শুকিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য বালুচর জেগে উঠেছে। জেগে ওঠা ধু-ধু বালুচরে বাদামের চাষ করেছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। বাদাম গাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বালুচর। তিস্তা, ধরলা, চরাঞ্চলে পাঁচশতাধিক চরাঞ্চলে বাদাম তোলার কর্মযজ্ঞ চলছে। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ দল বেঁধে বাদাম তোলার দৃশ্য চোখে পড়বে চরগুলোতে। চরাঞ্চলের বালু মাটি বাদাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের বালু মাটির জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। কৃষক মিজানুর বলেন, এবারে বাদামের ফলন ভালো হয়েছে। ২০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ওই জমি থেকে ৫/৭ মন বাজারে বিত্রিু করেছি। মন প্রতি ২ হাজার ৯শ টাকা। আরও অনেক বাদাম আছে, বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ হবে। একই ইউনিয়নের আব্দুল জলিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে নদীর ভাঙা-গড়ার খেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে চরের সংখ্যা। প্রতিবছর বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বন্যা-পরবর্তী সময়ে জেগে ওঠা চরে বাদাম, কাউন, তিল, তিসিসহ হরেক রকম ফসল চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। বাদাম খেত থেকে আগাছা কেটে গবাদিপশুকে খাওয়ানো হয়। তবে সার-বীজ, কীটনাশকসহ শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়া কৃষকরা লাভ কম পাচ্ছেন। বীজ রোপণের আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা যায়। চরাঞ্চলে কৃষি কাজ ছাড়া হাতে তেমন কাজ না থাকায় বছরের অন্যান্য সময় জেলার বাইরে কাজের সন্ধানে যেতে হয় এই অঞ্চলের মানুষকে। দরিদ্র ও অসচ্ছল সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজ করছেন চরাঞ্চলগুলোতে। এক মন বাদাম তুলে দিলে পারিশ্রমিক হিসেবে পাঁচ কেজি বাদাম দেন। একই ইউনিয়নের মোছা. আমেনা বেগম বলেন, বাদাম চাষ ভালো হয়েছে। সারাদিন বাদাম তুলে শুকাতে হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট