1. dailyjagratasangbad@gmail.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ
  2. info@www.dailyjagratasangbad.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ড নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার কালকিনিতে হাতকড়াসহ পালানো আসামি গ্রেফতার। গোবিন্দগঞ্জে মা-বাবাকে মারধর করে শিক্ষার্থীকে অপহরণ। লালমনিরহাটে তরুণ প্রজন্ম এখন অনলাইন জুয়া আসক্ত। ফটিকছড়িতে এক নিরীহ কৃষকের ৭৩ শতক জমি ১৭ বছর ধরে প্রভাবশালীর দখলে! আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে নাগরপুরে মানববন্ধন হাজীগঞ্জে কার ভুলে এতিম হলো নবজাতকসহ চার অবুঝ শিশু গাজীপুরে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি বেড়েই চলছে দেহ ব্যবসা – নিউজ এবং আইনি ব্যবস্থা নিলেই চলে সাংবাদিকদের হত্যা চেস্টা চট্টগ্রামে মানবাধিকার ফোরামের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর উপজেলার ৩ নং চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, লক্ষ্মীপুর।

ছেলের লাশ খুঁজতে গিয়ে চাকরি হারান বাবা

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

 

মো: জিহাদ হোসেন
উপজেলা প্রতিনিধি মতলব উত্তর চাঁদপুর।

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ পারভেজের বাবা এখনো তার সন্তানের কবর খুঁজে পাননি। কবে মারা গেছে সে দিন তারিখও সঠিক বলতে পারেন না। তবে শুনেছেন তার একমাত্র সন্তানকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ছেলের লাশ খুঁজতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন তিনি। এখন ছোট টঙ দোকানে চা বিক্রি করে সংসার চালান।

শহীদ পারভেজের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের বার হাতিয়া গ্রামে। সরেজমিনে গেলে পারভেজের বাবা মো. সবুজ বেপারি (৫০) আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি জানান, পারভেজ (২৩) দীর্ঘ এক যুগ ধরে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় বসবাস করত। সেখানে একটি ফার্নিচারের দোকানে নকশা মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল পারভেজ।

তিনি বলেন, আমি লঞ্চে সামান্য বেতনে চাকরি করতাম। পারভেজের লাশ খুঁজতে গিয়ে এবং শহীদ হওয়ার পর যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে চাকরিতে সময় দিতে পারিনি। ফলে চাকরি হারিয়ে আমি এখন বেকার। আমার বড় মেয়ে নুপুরকে বিয়ে দিয়েছি। মেঝ মেয়ে ঝুমুর কলেজে পড়াশোনা করে। ছোট মেয়ে খাদিজা ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। আমার সংসারে মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমার চাকরি না থাকায় বাড়ির পাশে একটি ছোট্ট টং দোকানে চা বিক্রি করে কোনো রকমে সংসার চালাই।

তিনি জানান, জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে ৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। সেই টাকার মধ্যে বড় মেয়ে নুপুরের বিয়েতে খরচ করেছেন। বেকার থাকায় ধারদেনা ছিল, সেগুলো পরিশোধ করেছেন। এ ছাড়াও ছেলের নিহতের তথ্য দিতে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে গিয়ে খরচ হয়েছে।

পারভেজের বাবা বলেন, ১৯ জুলাই খবর পাই আমার ছেলে পারভেজ নিখোঁজ। পরে ছেলের খোঁজ নিতে ঢাকায় যাই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে লোক মারফত শুনে ২১ জুলাই আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যাই। সেখানে গিয়ে শুনি ৮টি লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম অফিসে যাই। তারা আমাকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে যাওয়ার কথা বলে। শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে গিয়ে আমি আমার ছেলের ছবি দেখাই।

‘ছবি দেখার পর কবরস্থানের লোকরা বলে, আপনার ছেলের লাশ এখানে দাফন করা হয়েছে। তবে কোনটি আপনার ছেলের কবর তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। সেই থেকে এখনো সন্তানের অপেক্ষায় আছি। আজও পর্যন্ত ছেলের লাশ দেখলাম না। কবর চিহ্নিত করতে পারলাম না। এই কষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট