মো: জিহাদ হোসেন
বিশেষ প্রতিনিধি চাঁদপুর।
হাজীগঞ্জ বাজারস্থ কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ডিভাইডার স্থাপন (নির্মাণ) কাজ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত ১মে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারস্থ টিনপট্টির সম্মুখে বাজারস্থ মেইন রোড, হলুদ পট্টি, তরকারি পট্টি ও টিন পট্টির ব্যবসায়ীরা চলমান ডিভাইডার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
জানা গেছে, যানজট নিরসনে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজারস্থ থানা রোডের (আমিন রোড) পূর্ব দিক থেকে বড়পুলের পশ্চিম পাড় পর্যন্ত (হাজীগঞ্জ বাজার সেতু) ডিভাইডার নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ। এর মধ্যে বড়পুলের পশ্চিম পাড় থেকে বিসমিল্লাহ হাসপাতাল পর্যন্ত ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিসমিল্লাহ হাসপাতাল থেকে পশ্চিম দিকে থানা রোড পর্যন্ত ডিভাইডার নির্মাণ কাজ শুরু হলে ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানান এবং ডিভাইডার নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের সাথে একাত্মতা জানিয়ে শ্রমিক ও ভ্যান চালকেরা যোগ দেন।
খবর পেয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। এসময় সংবাদকর্মীদের সাথে কথা হয়, হলুদ পট্টির ব্যবসায়ী রনি ফ্লাওয়ার মিলসের সত্ত্বাধীকারী ও হাজীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ¦ আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু, মেসার্স কাদের ট্রেডাসের সত্ত্বাধীকারী আব্দুল কাদের, ভান্ডারি অয়েল মিলসের সত্ত্বাধীকারী মিরনসহ একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে।
তারা জানান, হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারস্থ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিংহভাগ ব্যবসায়ী হলেন, পাইকার বা আড়ৎদার। এখানে প্রতিদিন গভীর রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অন্তত অর্ধশতাধিক ট্রাকে মালামাল লোড ও আনলোড করা হয়। এর মধ্যে পৌরসভার নির্দিষ্ট ট্রাকষ্ট্যান্ড না থাকায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাকে মালামাল লোড-আনলোড করতে হয়।
এখন সড়কে যদি রোড ডিভাইডার স্থাপন করা হয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হবেন। কারণ, ব্যবসায়ীরা যদি সড়কের পাশে মালামাল লোড-আনলোড করতে না পারেন এবং অন্য কোন স্থানে মালামাল লোড আনলোড করেন, তাহলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতার সময় ও আর্থিক খরচ বেড়ে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, যানজট সৃষ্টি হয় থানা রোডের পশ্চিম দিক থেকে শ্রী শ্রী রাজালক্ষ্মী নারায়ান জিউর আখড়া পর্যন্ত। বোগদাদ ও আইদি বাস ধীর গতিতে চলাচল ও যাত্রী ওঠা-নামা এবং যেখানে সেখানে সিএনজি, অটোরিকশার দাঁড়িয়ে থাকা, স্থায়ী ও ভ্রাম্যমান হকারদের সড়ক দখল করে রাখার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তাছাড়া থানা রোডের পূর্ব দিকে কোন যানজট থাকে না। যদি যানজট হয়, তাহলে থানা রোডের পশ্চিম দিকের যানজট দীর্ঘসময় থাকার কারণে এবং ওই যানজট বড়পুলের পূর্বপাড় পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায়। তাই, রোড ডিভাইডার দিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি না করে, উল্লেখিত বিষয়গুলোর সমাধান করলে হাজীগঞ্জ বাজারের যানজট নিরসন হবে।
এদিকে ওই সময়ে চাঁদপুর সড়ক বিভাগের হাজীগঞ্জ সড়ক উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফ বলেন, বিষয়টি স্যারকে (উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ) অবহিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, ডিভাইডার নির্মাণ করছে সওজ। তারপরও বিষয়টি দেখা হচ্ছে। যাতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন এবং বাজারে যানজটের সৃষ্টি না হয়।