মো: জিহাদ হোসেন
বিশেষ প্রতিনিধি চাঁদপুর।
আবারও চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারের সীমানা প্রাচীর ভেঙে যাতায়েতের পথ তৈরি করেছেন স্থানীয় কিছু দূর্বৃত্ত । এর ফলে শিশু পরিবারের শতাধিক এতিম শিশু মেয়েসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা ছিলেন চরম নিরপত্তাহীনতায় । বিষয়টি জানার পর স্থানীয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার সেই পথ আবারো দেয়াল তুলে বন্ধ করে দিয়েছেন।
চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাতে স্থানীয় কিছু দূর্বৃত্তরা শিশু পরিবারের পদ্মা ভবন সংলগ্ন উত্তর পশ্চিমের সীমানা প্রাচীরের প্রায় ৯ ফুট দেয়াল ভেঙে ফেলে। এর পর থেকে শিশু পরিবারের শতাধিক এতিম শিশু মেয়েসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা চরম নিরাপত্তহীনতার ঝুকিতে ছিলেন। প্রায় এসব দূর্বৃত্তরা শিশু পরিবারে দিনরাত প্রবেশ করে মেয়েদের উত্যক্ত করা,মাদক সেবন করা, আড্ডা দেওয়াসহ বিভিন্ন গাছের ফলফলাদি চুরি করে নিয়ে যেত। কিন্তু দূর্বৃত্তের ভয়ে তারা কোনো করতে পরতেন না।
শিশু পরিবারের একাধিক শিশু জানায়, তাদের সীমনা দেয়াল ভেঙে ফেলায় আমরা দিনে বা রাতে শিশু পরিবারে ভবন থেকে বের হতে পারতামনা। বের হলে বখাটে ছেলে তাদের সাথে ইভটিজিংসহ খারাপ আচরণ করতো। বিষয়টি শিশু পরিবারের তত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ছায়েফ উদ্দিন জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করলে বৃহস্পতিবার পুুলিশি প্রহরায় নতুন করে সীমানা দেয়াল তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
শিশু পরিবারের তত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ছায়েফ উদ্দিন বলেন,এর আগে ২০১৮ একই স্থানে একই দূর্বৃত্তরা শিশু পরিবারের ভেতর দিয়ে জোরপূবক চলাচলের চেস্টা করলে তৎকালীন জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রজত শুভ্র সরকার সেখানে সীমানা দেয়াল তৈরী করে দেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট রাতে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে পাশ্ববর্তী মালিবাড়ির একদল দূর্বৃত্ত পুনরায় তাদের সীমনা দেয়াল রাতে অন্ধকারে ভেঙে ফেলে। এরপর থেকে শিশু পরিবারের সবাই চরম আতঙ্কে দিন কাটাতেন। বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বিষয়টি জানার সাথে সাথে পুলিশি সহায়তা নিয়ে নতুন করে আবারো সেখানে সীমনা দেয়াল তৈরী করেন।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন,আমরা এবার সেসব দূর্বৃত্তকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। যাতে করে তারা আবার সরকারি সম্পত্তি জোর পূর্বক ভেঙে প্রবেশ করে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর কিছু করতে না পারে।