1. dailyjagratasangbad@gmail.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ
  2. info@www.dailyjagratasangbad.com : দৈনিক জাগ্রত সংবাদ :
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাজীপুরের শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ড সাংবাদিকতার নামে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নরসিংদীতে দুই ভাইকে হত্যা মামলার আসামী দিদার গ্রেফতার লালমনিরহাট জেলায় নিজ যোগ্যতায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৭ জন। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত । শতকোটি টাকার জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকের দৃঢ় পদক্ষেপ। লালমনিরহাটে ২০৬ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ০৩ গ্রাম হেরোইন’সহ ০১ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার। ঝুঁকিপূর্ণ বাঘাইছড়ি–দীঘিনালা সড়ক: সংস্কার ও সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবি গাজীপুরে শাহ আলম বকসি’র নির্বাচনী গণসংযোগ এবং পথসভা ফুটবলখেলা- ই যখন মরনফাদ, একাধিক রক্তাক্ত জখম। মনোহরদীতে এস.আই শাহিনূর এর চৌকুস নেতৃত্বে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী গ্রেফতার

গফরগাঁও-কিশোরগঞ্জ-নরসিংদীতে সক্রিয় দালাল চক্র, ভুয়া সনদে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

 

মনোহরদী(নরসিংদী) প্রতিনিধি

 

ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় একাধিক স্কুল ও মাদ্রাসায় ভুয়া নিবন্ধন ও জাল সনদ ব্যবহার করে শিক্ষক নিয়োগের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত ২/৩ বছর ধরে সোচ্চার বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম ও মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল। তিনি বলেন, গত ৮ মাসে আমার দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় ২০০ ভুয়া শিক্ষকের ইনডেক্স কর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসা অধিদপ্তরে নতুন কর্মকর্তা যোগ দিয়েছেন। তার অভিজ্ঞতার অভাব ও অদক্ষতার কারণে কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। তবে এখনো দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভূয়া শিক্ষক বহাল রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, অন্তত ১৬ জন শিক্ষককে ঘুষ, জাল সনদ ও সুপারিশপত্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠান প্রধান কিংবা প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। এই নিয়োগ বাণিজ্যের পেছনে সক্রিয় একটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। নেতৃত্বে রয়েছে গাজীপুরের সোহাগপুর আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল্লাহ মৌলবী এবং বরখাস্তকৃত দুই শিক্ষক আশরাফুল আলম ও রুহুল মাস্টার। অভিযোগ রয়েছে, তারা প্রতি নিয়োগে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন এবং বৈধ নিয়োগ বোর্ড ছাড়াই নিয়োগপত্র ইস্যু করেছেন। বিশদ তথ্যে দেখা গেছে: গফরগাঁওয়ের পাঁচাহার মাজমপাড়া মাদ্রাসায় মনিরুল ইসলাম (M0046212), আফরোজা আক্তার (M0051393), জামির হাজী বালিকা মাদ্রাসায় সনি আক্তার (M0039817), মো. ইয়াহিয়া (D2015591), শিরিনা খাতুন (M0052316), নাসিমা খাতুন (D345583), বিতর্কিত জহিরুল ইসলাম জাকির (N2099816), ব্রাহ্মণখালী সিনিয়র মাদ্রাসায় মো. শাফি উল্লাহ (N2111192), টাংগাব সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় মো. মনিরুজ্জামান (N2109192), মাহমুদুল ইসলাম (2122405), মো. মোখলেসুর রহমান (M0015841), দক্ষিণ টাংগাব বালিকা মাদ্রাসায় মো. আল-আমিন (N2128967), কুলিয়ারচরের সালুয়া ফাজিল মাদ্রাসায় মো. ইব্রাহিম খলিল (M0053943), নরসিংদীর বেলাব উপজেলার এন.ভি.এস. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মো. রাসেল মিয়া (N56887962) এবং ফরহাদ মীর (N56887961) নিয়োগ পেয়েছেন। যাদের একাডেমিক সনদ ও নিবন্ধন নম্বর জাল বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষাটত অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তা এবং প্রশাসনের নীরবতা এই দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে। প্রশ্ন উঠেছে—কে বা কারা এসব নিয়োগ অনুমোদন দিল, জাল সনদ সরবরাহ করল এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল মনে করেন, সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার শৃঙ্খলা রক্ষায় এখনই সময় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট