ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ জোবায়ের রহমান
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তামান্না আক্তার লিমা (২৫ ) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে তার মরাদেহটি উদ্ধার করা হয়। লিমা ঐ গ্রামের মিলন ফকিরের মেয়ে এবং ফরিদপুর জেলা সদরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার নাঈম ভূইয়ার স্ত্রী ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, লিমার
বিয়ের পর অন্তঃসত্ত্বা হলে সে সময় ভুল একটি অপারেশনে লিমার জরায়ু নাড়ী কেটে ফেলা হয় । এতে লিমা মা হওয়ার সকল পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ঝগড়াঝাটি হতো। লিমাকে দায়ী করে শশুর বাড়ীর লোকজন বিভিন্ন সময় চরম লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি তার উপরে অমানবিক নির্যাতন ও চালানো হতো । স্বামী ও তার পরিবারের অতিরিক্ত অত্যাচার- নির্যাতনের স্বীকার হয়ে লিমা গত ৪ দিন আগে শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে লিমা তার মায়ের সাথে কথা বলে তাদের টিনের ঘরের পূর্ব পাশের একটি রুম গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলে তার ছোট ভাই শাহরিয়ার ফকির রুমের দরজা বন্ধ দেখে তার বোন লিমাকে ডাকাডাকি করলে রুমের ভিতর থেকে কোন সারা শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে তার বোনকে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তখন ছোট ভাই শাহারিয়ার ফকির এর চিৎকার এ আশপাশের লোকজন এসে লিমা কে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে ভাংগা থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লিমার লাশ উদ্ধার করে। প্রতিবেশিরা ও লিমার মা জানান গত ৪ দিন আগে শশুর বাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়ে টা আমার বাড়িতে চলে আসে,,,
ভাঙ্গা থানার সাব-ইন্সপেক্টর রতন কুমার বলেন, পারিবারিক কলহের জেরধরে গৃহবধূ তামান্না আক্তার লীমা গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল বুধবার ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হবে।মর্গের রিপোর্ট পাওয়ার পরে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।