শামিনুর ইসলাম শামীম :নওগাঁ রাণীনগর,
পারইল ইউনিয়নের মতিউর বেচেঁ ছিল এটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইছিল না। কারণ এই অবস্থায় থেকে বেঁচে ফেরার কথা না। বাবার নসিবে ছিল, তাই এখনও বেঁচে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে।বলেছিলেন তার মেয়ে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য স্থানীয় একজন টাকা দিয়েছিলেন মতিউরকে। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় টাকা ফেরত চায় সেই যুবক। সেই যুবককে ৪০ হাজার টাকা দিতে তালবাহানা করলে স্থানীয় জামায়াতের অফিসে বিচার দেওয়ার পর ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা উঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় বাংলাদেশ জামায়াতের নের্তৃবৃন্দরা। আর এই দায়িত্ব পালন করেছেন পারইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক আমির মো: সিরাজুল ইসলাম। তিনিও জানালেন, মতিউর চোর বা ছিনতাইকারী না। আর তার এই বেঁচে ফেরা অলৌকিক।
পারাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান মতিউরের আদম ব্যবসার কথা স্বীকার করে বলেন, হয়তো সে দুই একজনকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হতে পারে। তবে সে চোর বা ছিনতাইকারী না। তাই তার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে সেটার সঠিক কারণ উৎঘাটন করে দোষীদের বিচারেব দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদেশরত সজিবের বাবা হেলাল প্রামাণিক মুঠোফোনে বলেন, আমার ছেলেকে মতিউর প্রায় এক মাস ১০ দিন আগে কোম্পানির ভিসায় বিদেশ নিয়ে গেছে। কিন্তু পরে জানা যাচ্ছে সাপ্লাই ভিসায়। এখনও কোন কাজ দেয়নি আমার ছেলেকে। তাই মতিউরকে একদিন বাড়িতে ডেকে এনে প্রমাণ হিসেবে স্ট্যাম্প করে নেওয়া হয়েছে। আর ট্রেনের ঘটনা কি সেটা আমার জানা নেই। এর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।
বেঁচে যাওয়া মতিউর বলেন আমি চোর বা ছিনতাইকারী নয় আর আমার জীবনে যা ঘটে গেল আর কারো যেন এমন ঘটনা না ঘটে।
আমি রাণীনগর থানায় গিয়েছিলাম মামলা নাইনি যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানেই মামলা করেন। পরে আদমদিঘি থানায় গিয়েছিলাম তারা বলেন রেলওয়ে জিআরপি থানায় মামলা দেন সেখানে গিয়েও মামলা নেয়নি পরে কোর্টে যাই মামলার জন্য এরপর আবার জিআরপি থানায় আসি মামলা করার জন্য।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এবং যার নামে অভিযোগ দিয়েছে তাকে ধরার জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। এছাড়া মূল ঘটনা উদঘাটনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।