জামালপু প্রতিনিধি:

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভূমি মালিকের বিরুদ্ধে ভূমি ক্রেতার ছেলেকে ধর্ষণের চেষ্টার মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ভূমি ক্রেতা। এ ঘটনায় আতংক নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক দম্পতি পরিবার। সম্প্রতি সরিষাবাড়ী পৌর সভার শিমলা বাজার সাবেক এ আর এ জুট মিলস লি:এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌর সভার শিমলা বাজার সাবেক এ আর এ জুট মিলস লি:এলাকার মরহুম আব্দুল শেখ এর মেয়ে রাশেদা বেগম একই উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের শিক্ষক নিজাম উদ্দিন এর স্ত্রী কামরুনন্নাহার বেগম এর নিকট ৪ শতাংশ ভূমি ২০১৮ ইং সালে রেজিষ্ট্রীমুলে বিক্রি করেন। ওই বিক্রিত ৪ শতাংশ ভূমি পরিমাপ করে সাড়ে ৩ শতাংশ ভূমি পাওয়া যায়। অবশিষ্ট আধা শতাংশ ভুমি নিজাম উদ্দিন বার বার ভূমি বিক্রেতার নিকট চাইলে তারা দেই দিচ্ছি বলে নানা তালবাহানা করে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি মিমাংসার জন্য গ্রাম্য সালীশ বসার সিদ্ধান্ত হলেও তারা ওই সালিশে অনুপস্থিত থাকেন। দরবারে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি ভূমি ক্রেতা বলতে গেলে ভূমি মালিক রাশেদা বাড়াবাড়ী না করার হুমকি দেয়। বেশী বাড়াবাড়ী করলে রাশেদার স্কুল পডুয়া ভাতিজী (১৫) কে দিয়ে ভূমি ক্রেতার ছেলেকে ফাসানো’র হুমকি প্রর্দশন করেন রাশেদা ও তার জামাতা রুবেল মিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের গত ২৬ এপ্রিল সরিষাবাড়ী থানার এ এস আই জহির রায়হান সকাল দশটায় ভূমি র্সক্রান্ত বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে থানায় হাজির হওয়ার কথা বললে উভয় পক্ষই হাজির হওয়ার জন্য রাজী হন। ইতিমধ্যে ওই দিনই সন্ধা ৭ ঘটিকার সময়ে তাদের কুট কৈশলে ভূমি মালিক রাশেদার ভাতিজি নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী (১৫) এর মুখে বিষ ডেলে ৬ জন ব্যাক্তিকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে একটি চিরকুট লিখে সালীশ ভুন্ডুলের নাটক সাজায় তারা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই শিক্ষার্থী’র বিষ পানে আক্রান্ত নয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরিয়ে দেন। পরে এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি চাদঁ মিয়ার নিকট চিরকুট জমা দেন রুবেল ও রাশেদা। ওই শিক্ষার্থীর চিরকুটে লিখা ছিল আমার মৃত্যুর জন্য ৬ জন ব্যাক্তি দায়ী ।এমনকি আরোও লেখা থাকে পল্লী চিকিৎসক কামরুল ইসলাম আমাকে নিয়ে মোটর সাইকেল দিয়ে পার্কে নিয়ে যাওয়া সহ প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ ঘটনায় রাশেদা বাদী হয়ে তার ভাতিজির মৃত্যুর জন্য চিরকুটে লেখা ৬ জন্য ব্যাক্তি দায়ী মর্মে সরিষাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দেন। পরবতীতে নিজাম উদ্দিন এর অর্নাস পড়ুয়া ছেলের বিরুদ্ধে গত ২৬ এপ্রিল বিষ পানের ২ ঘন্টা পূর্বে একটি ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনার বর্ননা দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে বিগত ৪ মে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন রাশেদা বেগম। চিরকুটে শিক্ষক নিজাম উদ্দিন এর ছেলের নাম না থাকলেও তার নামে ধর্ষণের চেষ্টা একটি অভিযোগ দেন। এ অভিযোগ পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার এস আই বিকাষ চন্দ্র ঘটনার তদন্তে গিয়ে ঘটনাটি মিথ্যা বলে প্রতিয়মান হয়। উল্লেখ যে অনার্স পডুয়া শিক্ষার্থীর বিগত ৯ এপ্রিল তারিখে অনার্স পরীক্ষা দিতে গিয়ে অদ্যবধি বাসায় আসেনি। তাই মিথ্যা বানোয়াট সম্মানহানিকর মিথ্যা অভিযোগ কারী রাশেদা বেগম ও তার জামাতা বিভিন্ন মামলার অভিযুক্ত আসামী রুবেল মিয়া সহ জডিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ছাড়াও ভূমি মালিক রাশেদা বেগম ও তার জামাতা রুবেল মিয়া’র দেয়া নানা হুমকি ধামকি দেওয়া তাদের ৬ জনের বিরুদ্ধে ভূমি ক্রেতা শিক্ষক নিজাম উদ্দিন এর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।