মোঃ কামাল হোসেন, বরিশাল
আজ আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এক অকুতোভয়, ত্যাগী ও জনপ্রিয় ছাত্রনেতাকে—মশিউর আলম সেন্টু। আজ তার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। সময়ের স্রোতে অনেক কিছু বদলে গেলেও বদলায়নি তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। বরিশাল বিএম কলেজের ইতিহাসে এবং দক্ষিণবঙ্গের ছাত্র রাজনীতির মানচিত্রে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে তিনি আজও স্মরণীয়।
নেতৃত্বগুণে গড়া এক আলোকিত নাম
মশিউর আলম সেন্টু শুধু বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক নির্বাচিত ভিপি ছিলেন না—তিনি ছিলেন বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতির দায়িত্বও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। তার কর্মনিষ্ঠা, সংগ্রামী মনোভাব ও নেতৃস্থানীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি ছাত্র সমাজের কাছে হয়ে উঠেছিলেন এক অনন্য আদর্শ।
তুখোর জনপ্রিয়তা আর সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি
ছাত্রনেতা সেন্টু ছিলেন অকুতোভয়। অন্যায়ের প্রতিবাদে, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনোই আপোষ করেননি, বরং সততা ও আদর্শ নিয়ে পথ চলেছেন শেষদিন পর্যন্ত। তার বক্তৃতা ছিল প্রাঞ্জল, তার নেতৃত্ব ছিল সুসংগঠিত, আর তার উপস্থিতিই ছিল অন্যদের অনুপ্রেরণার উৎস।
অকাল প্রয়াণ, অথচ অমর চিহ্ন
২০০৮ সালের এই দিনে মশিউর আলম সেন্টু আমাদের ছেড়ে চলে যান। কিন্তু তার রেখে যাওয়া ভাবনা, আন্দোলন, স্বপ্ন ও কর্ম আজও প্রাসঙ্গিক। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি রয়ে গেছেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে। আজকের এই দিনে আমরা শুধু একজন নেতাকে নয়, বরং এক জীবন্ত চেতনা ও আন্দোলনের প্রতীককে স্মরণ করছি।
আজকের প্রজন্মের জন্য প্রেরণা
বর্তমান সময়ের তরুণদের জন্য সেন্টুর জীবন এক অনন্য শিক্ষা। কিভাবে ত্যাগ, সততা, সাহস ও নেতৃত্ব দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের সোপান তৈরি করা যায়—সেটাই ছিল তার জীবনের মূল শিক্ষা। রাজনীতি হোক মানুষের অধিকার আদায়ের মাধ্যম—এই বার্তা তিনি রেখে গেছেন।
সেন্টু ভাইয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তার সাহসিকতা ও নেতৃত্বগুণ আমাদের পথ দেখাক বারবার।
ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায়— জাতীয়তাবাদী দল , বরিশাল ও বাংলাদেশ।